সমাজকর্মী নরেন্দ্র দাভোলকর হত্যা মামলায় মূল অভিযুক্ত সহ ৩ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করলো বিশেষ দায়রা আদালত। অন্য ২ অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারদণ্ড সহ ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন অ্যাডিশনাল সেশন জাজ।
বিচারক পি পি যাদব বলেন, তদন্তে শচীন অন্ধুরে এবং শারদ কালস্করের বিরুদ্ধে হত্যা এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাকি ৩ অভিযুক্ত ডঃ বীরেন্দ্র সিং তাওড়ে, সঞ্জীব পুনালেকার এবং বিক্রম ভাভেকে প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস করা হলো।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২০ আগস্ট প্রাতঃভ্রমণে গেছিলেন ডঃ নরেন্দ্র দাভোলকর। সেই সময় পুণের ওমকারেশ্বর মন্দির অঞ্চলে দুই অজ্ঞাতপরিচয় মোটর সাইকেল আরোহী তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। আততায়ীদের গুলিতে লুটিয়ে পড়েন মহারাষ্ট্র অন্ধশ্রদ্ধা নির্মূলন সমিতির (MANS) কর্ণধার, ৬৭ বছর বয়সী দাভোলকর। একটি দক্ষিণপন্থী গোষ্ঠীর সদস্যরা তাঁকে খুন করে বলে অভিযোগ করা হয়।
২০১৬ সালে সেপ্টেম্বর মাসে সিবিআই তাওড়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে এবং দাবি করে যে তিনি দভোলকরকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন। ২০২১ সালে পুণে আদালত এই হত্যাকান্ডের মূল চক্রী হিসেবে বীরেন্দ্র সিং তাওড়েকে অভিযুক্ত করে। ডঃ বীরেন্দ্র সিং তাওড়ে, শচীন অন্ধুরে, শারদ কালস্কর এবং বিক্রম ভাবের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির এবং ইউএপিএর অধীনে হত্যা, হত্যার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনা হয়। পঞ্চম অভিযুক্ত, আইনজীবী সঞ্জীব পুনালেকরের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপ করার অভিযোগ আনা হয়।
উল্লেখযোগ্যভাবে অন্ধবিশ্বাস বিরোধী যুক্তিবাদী নরেন্দ্র দাভোলকরকে হত্যা করা হয় ২০১৩ সালের ২০ আগস্ট। এরপরেই ২০১৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি হত্যা করা হয় সিপিআই নেতা তথা আর এক যুক্তিবাদী গোবিন্দ পানসারেকে এবং ২০১৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর খুন করা হয় যুক্তিবাদী এম এম কালবুরগিকে। ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর খুন হন সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ। এই সমস্ত হত্যার পিছনে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন