বেশ কিছুদিনের শান্তির পর ফের সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এলো মণিপুর। রাজ্যের কাংপোপকি জেলায় মঙ্গলবার সকালে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হল কুকি-জু সম্প্রপদায়ের ৩ আদিবাসীকে। এমনটাই জানিয়েছেন বীরেন সিং সরকারের এক আধিকারিক। অভিযোগ উঠেছে এক নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এইভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে ৩ আদিবাসীকে হত্যা করায় মণিপুরবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে ফের নতুন করে প্রশ্ন উঠছে।
মণিপুর প্রশাসনের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, “আমরা এখনও এই নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানি না। তবে যতটা জানা গিয়েছে তা হল, মঙ্গলবার সকাল ৮.২০ মিনিট নাগাদ কাংপোপকি জেলা ও পশ্চিম ইম্ফলের সীমান্তের কাছাকাছি ইরেং ও কারাম এলাকার মাঝে দুষ্কৃতিরা গাড়ি করে এসে স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দাদের মারধর শুরু করে। বিশেষত কুকি সম্প্রদায় অধ্যুষিত ওই এলাকায় এরপর ৩ কুকি-জু সম্প্রদায়ের ৩ আদিবাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।” উল্লেখ্য, মৃতদের পরিচয় সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত বিশেষ কিছুই জানায়নি পুলিশ। পাশাপাশি, অভিযুক্তদেরও এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা যায়নি।
গত ৩ মে থেকে ক্রমাগত জাতিগত হিংসায় উত্তাল পরিস্থিতি উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুরে। সরকারি হিসেবে এখনও পর্যন্ত ১৫০-এরও বেশি রাজ্যবাসী এই জাতিগত প্রতিহিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন। তবে সূত্রে খবর, সরকারি হিসেবের চেয়ে মৃতের সংখ্যা আরও কয়েক গুন বেশি। পাশাপাশি, এখনও রাজ্যের প্রায় ৫০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে সূত্রে। জুলাই মাসের শেষে দুই কুকি মহিলাকে বিবস্ত্র করে মাঠের মধ্যে দিয়ে হাঁটানো ও গণধর্ষণের ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। সেই ঘটনার পর দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল।
কিন্তু গত সপ্তাহ তিনেক মণিপুরের খবরাখবর সংবাদমাধ্যমের কানে সেভাবে পৌঁছয়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে খবর, গত একমাস যাবৎ মণিপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আগুন আরও কয়েকশো গুন বেড়েছে। হিংসা ও হানাহানি বেড়েছে ক্রমাগত।
অন্যদিকে মণিপুর নিয়ে একটি 'ভুল' ছবি পোস্ট করায় এডিটরস গিল্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল মণিপুর পুলিশ। সেই মামলায় গিল্ডের সদস্যদের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন