কোভিড অতিমারিতে গত বছর থেকেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে কর্মী ছাঁটাই। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। গত বছরের শেষ ও এই বছরের শুরুর দিকে যখন করোনার প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছিল, তখন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে বলে সবাই আশা করেছিল। কিন্তু তা হয়নি। আর্থিক মন্দার জের সব ক্ষেত্রেই। বছর খানেকের মধ্যে আরও কয়েক লক্ষ কর্মী ছাঁটাই হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল ওয়াকিবহাল মহল। তার মধ্যে দেশে ৩০ লক্ষ পদে কাটছাঁট করা হতে পারে।
মূলত খরচ বাঁচানোর জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সফটওয়্যার সংস্থাগুলি। এতে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন খরচ বাঁচানো সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ন্যাসকমের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে ভারতে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ১৬ মিলিয়ন অর্থাৎ ১ কোটি ৬০ লক্ষ কর্মী রয়েছেন ৷ তার মধ্যে স্বল্প দক্ষতার ক্ষেত্র ও বিপিও সেক্টরে কাজ করেন ৯০ লক্ষ কর্মী। তাঁদের মধ্যে ৩০ শতাংশ কর্মহীন হয়ে পড়বেন। ২০২২ সালের মধ্যে সেই সংখ্যাটি দাঁড়াবে ৩০ লক্ষে।
আশঙ্কার বিষয়, রোবট স্বয়ংক্রিয়তা বা রোবট প্রসেস অটোমেশন (আরপিএ) প্রক্রিয়া চালু হতে চলেছে। আর তার জেরে প্রায় ৭ লক্ষ পদ প্রতিস্থাপিত হবে। বাকি অংশ অন্যান্য প্রযুক্তিগত আপগ্রেড এবং আরও নানা কারণে ছাঁটাই হবে। আরপিএ-এর ক্ষেত্রে রোবটগুলি ২৪ ঘণ্টা টানা কাজ করতে পারে। ফলে মানুষ বনাম রোবটের শ্রমের অনুপাত দাঁড়াবে ১০ঃ১
সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকায়৷ সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ১০ লক্ষতে। রির্পোটে বলা হচ্ছে, টিসিএস, ইনফোসিস, উইপ্রো, এইচসিএল, টেক মাহিন্দ্রা এবং কগনিজ্যান্ট এবং অন্যান্যরা আরপিএ আপ-স্কিলিংয়ের কারণে আগামী বছরের মধ্যে স্বল্প দক্ষ সেক্টরের ক্ষেত্রে ৩০ লক্ষ ছাঁটাইয়ের ভাবনা রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন