জাতীয় গুরুত্বের উপর প্রতিদিন ৩০ মিনিটের অনুষ্ঠান, টিভি চ্যানেলের জন্য কেন্দ্রের নয়া নির্দেশ

‘জাতীয় গুরুত্ব’ ও ‘সামাজিক প্রাসঙ্গিকতা’ বলতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সাক্ষরতার প্রসার, সমাজের দুর্বল অংশের মানুষের ক্ষমতায়ন, পরিবেশ, জাতীয় সংহতি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে বোঝানো হয়েছে।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীছবি সংগৃহীত
Published on

‘জাতীয় গুরুত্ব’ (national importance) এবং ‘সামাজিক প্রাসঙ্গিকতা’ (social relevance) নিয়ে প্রতিদিন ৩০ মিনিটের অনুষ্ঠান দেখানোর জন্য বেসরকারী টিভি চ্যানেলগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র

বুধবার, কেন্দ্রের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক ‘টিভি চ্যানেলগুলির জন্য নতুন আপলিঙ্কিং এবং ডাউনলিংকিং নির্দেশিকা’ জারি করেছে। তাতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নয়া নির্দেশিকায় ‘জাতীয় গুরুত্ব’ এবং ‘সামাজিক প্রাসঙ্গিকতা’ বলতে যে ৮ টি বিষয়কে বোঝানো হয়েছে, তার মধ্যে আছে - স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সাক্ষরতার প্রসার, সমাজের দুর্বল অংশের মানুষের ক্ষমতায়ন, পরিবেশ, জাতীয় সংহতি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি।

কেন্দ্রের তথ্য ও সম্প্রচার সচিব অপূর্ব চন্দ্র বলেন, ‘বেসরকারী টিভি চ্যানেল এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পরে, কী ধরণের অনুষ্ঠান করা যেতে পারে সে সম্পর্কে একটি পৃথক নির্দেশিকা জারি করবে মন্ত্রক।’

অপূর্ব চন্দ্র জানান, ‘সম্প্রচারের বিষয়বস্তু ঠিক করার দায়িত্ব চ্যানেলের, সরকারের নয়। আমরা শুধু দেখব, সেগুলি সম্প্রচার করা হচ্ছে কিনা। আর, এই অনুষ্ঠানগুলি জনস্বার্থে হতে হবে।’

একইসঙ্গে চন্দ্র বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় অনুমোদনের পরেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সি-ব্যান্ড (C-Band)-এর ফ্রিকোয়েন্সি ছাড়া অন্যান্য সমস্ত ব্যান্ডে আপলিঙ্ক (Uplink) টিভি চ্যানেলগুলিকে বাধ্যতামূলকভাবে তাদের সিগনালগুলি এনক্রিপ্ট (Encrypt) করতে হবে।

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, চ্যানেলগুলি নিজেদের সুবিধা মতো প্রোগ্রাম সিডিউল পরিবর্তন করতে পারবে। তবে, ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। যেমন স্পোর্টস চ্যানেলের ক্ষেত্রে, যেখানে এটি সম্ভব নয়।

নতুন নির্দেশিকায় চ্যানেলের বিষয়বস্তুর শ্রেণীবিভাগেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন কয়েকটি বিভাগও যোগ করা হয়েছে নির্দেশিকায়। এর মধ্যে রয়েছে, প্রধানত ভক্তিমূলক (predominantly devotional), আধ্যাত্মিক (spiritual) এবং যোগাব্যায়াম (yoga content)। ২০১১ সালের নির্দেশিকা অনুযায়ী, বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলিকে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা হত। যেমন সংবাদ (News) এবং অ-সংবাদ (non-news) চ্যানেল।

জানা যাচ্ছে, এই ভক্তিমূলক, আধ্যাত্মিক এবং যোগাব্যায়াম-এর বিষয়বস্তু কেন্দ্রিক চ্যানেলগুলিকে বিনামূল্যে লাইভ সম্প্রচারের অনুমতি দেওয়া হবে। এজন্য তাঁদের কোনও ফি দিতে হবে না। তবে, অন্যান্য অ-সংবাদ (non-news) চ্যানেলগুলিকে প্রতিদিন চ্যানেল পিছু ₹১ লাখ টাকা, এবং আঞ্চলিক চ্যানেলকে প্রতিদিন ₹৫০,০০০ টাকা দিতে হবে।

ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল ইন্ডিয়া (BARC)-র এক তথ্য অনুসারে, ২০১৬ সালের পর দেশজুড়ে ভক্তিমূলক চ্যানেলের দর্শক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৬ সালে ভক্তিমূলক চ্যানেলে গড় সাপ্তাহিক ইম্প্রেশন ছিল ২২.২ মিলিয়ন। ২০১৭ সালে গড় সাপ্তাহিক ইম্প্রেশন ছিল ৯৭ মিলিয়ন। আর, ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৯.৮ মিলিয়ন।

ছবি প্রতীকী
Lay Off: এক ধাক্কায় ১১ হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাই Facebook-এ, ঘোষণা জুকারবার্গের
ছবি প্রতীকী
Demonetization: 'খুবই বিব্রতকর' - হলফনামা না দেওয়ায় কেন্দ্রের প্রতি বিক্ষুদ্ধ সুপ্রিম কোর্ট

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in