বিষ মদ পান করে বিহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৫ জনের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে রয়েছেন ৪৯ জন। তাঁদের অনেকের অবস্থা সঙ্কটজনক। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, মৃতদের মধ্যে ২৮ জন সিওয়ান জেলার বাসিন্দা। এবং বাকি ৭ জন সারন জেলার বাসিন্দা।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই মদে বিষাক্ত মিথাইল অ্যালকোহল মিলেছে। ইতিমধ্যেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার রাজ্যের আবগারি আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেছেন। এবং গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য এলাকা পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন হয়েছে। রাজ্যের পুলিশ অলোক রাজ সংবাদ মাধ্যমে একথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে, সিওয়ানের নিহত পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সোম এবং মঙ্গলবার মদ খেয়েছিলেন। এরপরেই পেটে ব্যথা, বমি, চোখে কম দেখার মতো লক্ষণ দেখা দিতে থাকে।
অন্যদিকে, বিষ মদে মৃত্যুর ঘটনায় বিহার সরকারকে তোপ দাগতে শুরু করেছে বিরোধীরা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, "৩০ জনেরও বেশী মানুষ মারা গেছেন। কয়েকজন তাঁদের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এখনও পর্যন্ত শোক প্রকাশ করেননি। এটা খুন। ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। সর্বত্র মদ পাওয়া যাচ্ছে।“
অন্যদিকে, জেডিইউ–এর মুখপাত্র অরবিন্দ নিষাদ জানিয়েছেন, "সরকার সবসময় এই ধরনের ঘটনার সাথে কঠোরভাবে মোকাবিলা করে। মদ মাফিয়াদের উচ্ছেদের জন্য আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।“
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে মদ বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিহার সরকার। তারপর থেকে সেরাজ্যে প্রায়শই ঘরোয়া উপায়ে মদ তৈরির কারণে মৃত্যুর খরব মিলেছে। সবথেকে মারাত্মক পরিস্থিতি হয়েছিল ২০২২ সালে। সেবার বিষ মদ পানের কারণে বিহারে মৃত্যু হয় ৭৩ জনের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন