কেন্দ্রীয় বাজেটে বঞ্চনার অভিযোগে নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন ৪ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই তালিকায় রয়েছেন, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সুখু এবং তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি।
মঙ্গলবার অর্থাৎ গতকাল কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তাঁর বাজেট নিয়ে সমালোচনা করেন ইন্ডিয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বরা। রাহুল গান্ধী জানান, 'এই বাজেট কুর্শি বাঁচাও বাজেট'। কেউ কেউ জানান, 'এটা কেন্দ্রীয় বাজেট নয়। এটা বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশ বাজেট'। এবার কেন্দ্রীয় বাজেটে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে নীতি আয়োগ বৈঠক বয়কট করলেন ৩ কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের এবং একটি ডিএমকে শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
এম কে স্ট্যালিন জানান, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন রয়েছে ২০২৯ সালে। ততদিন দেশের গরিব, কৃষক, নারী এবং যুবকদের উন্নতির জন্য কাজে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু ২০২৪ কেন্দ্রীয় বাজেটে তাঁর কথার কোনও প্রতিফলন হয়নি। তিনি তামিলনাড়ুর মানুষকে বঞ্চিত করেছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না, তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি"।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, "বাজেটে বিজেপির জোটসঙ্গীদের রাজ্যগুলির জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু বিগত ৩ বছর ধরে চেন্নাই মেট্রোর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে না। আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বাজেট বক্তৃতায় একবারও 'তামিল' বা 'তামিলনাড়ু' শব্দটি উল্লেখ করেননি। তামিলনাড়ুর প্রতি এই অবহেলার কারণে আমি আগামী ২৭ জুলাই নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি"।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি ভেণুগোপাল এক্স হ্যান্ডেলে জানান, "যে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করা হয়েছে তা বিপদজনক এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো বিরোধী। সরকারের এই মনোভাব সম্পূর্ণ সাংবিধানিক নীতির পরিপন্থী। প্রতিবাদে, কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীরা আগামী ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হওয়া নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করবেন"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন