২০১৩ সাল থেকে দেশে বেআইনি হয়েছে মানুষের দ্বারা নর্দমার সাফাই। তা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার সুরাটের এক কারখানার সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিস্কার করতে গিয়ে বিহারের ৪ শ্রমিকের মৃত্যু হল। ২৫ ফুট গভীর সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে ঢুকে শ্বাসকষ্টের সমস্যার জন্য ওই চার শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, চার শ্রমিকের দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, সুরাটের বালেশ্বর গ্রামের একটি বস্ত্ররঞ্জন কারখানার ৮টি সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিস্কার করা জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন বিহারের চার শ্রমিক রাজেশ, কমলেশ, শেহনাওয়াজ, দীপক। মেশিনের সাহায্যে ওই সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিস্কার করার কথা থাকলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চারজনের মধ্যে একজনকে ২৫ ফুট গভীর ওই ট্যাঙ্কের নিচে নামতে হয়।
সুরাট (গ্রামীণ) পুলিশের ডিএসপি এইচ.এল রাঠোর জানিয়েছেন, ট্যাঙ্কের নীচে নামার পর ওই শ্রমিক কোনও সাড়া না দিলে বাকিরা তাঁকে উদ্ধারের জন্য নীচে নামে। এবং ট্যাঙ্কের ভিতরে নামার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা সংজ্ঞা হারান। কামরেজ ও বারডোলির দমকল কর্মীরা এই আপদকালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে অচেতন শ্রমিকদের উদ্ধার করেন। কিন্তু ১০৮-জরুরীকালীন দল তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করে।
ইতিমধ্যেই নিহত চার শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুরাটের সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সুরাট পুলিশের ডেপুটি সুপারিডেন্ট। তিনি আরও জানিয়েছেন, ঘটনাটি একটি দুর্ঘটনা হিসেবেই মনে করা হচ্ছে, কিন্তু পুলিশ এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। যদি তদন্তে কর্তৃপক্ষের কোনওরকম অসতর্কতা বা গাফিলতি নজরে আসে, তাহলে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে সেই অনুযায়ী তদন্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত সরকারি তথ্য বলছে, বেআইনি হওয়া সত্ত্বেও ভারতে গত পাঁচবছরে নর্দমা ও সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিস্কার করতে গিয়ে মোট ৩৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন