মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে অজিত পাওয়ারের এনসিপি। দল ছাড়লেন চার শীর্ষ নেতা। সূত্রের খবর, ওই ৪ নেতা শরদ পাওয়ারের এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন। সোমবারই এনসিপি (অজিত গোষ্ঠী) নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ছগন ভুজবল দেখা করেছিলেন এনসিপি (শরদ পাওয়ার) প্রধান শরদ পাওয়ারের সাথে। তার একদিন পরেই এই ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে যথেষ্ট উত্তেজনা তৈরি করেছে।
দলের পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড় শাখার প্রধান অজিত গাভাহানে, ওই শাখার ছাত্র সংগঠনের প্রধান যশ সানে এবং প্রাক্তন কাউন্সিলর রাহুল ভোঁসলে ও পঙ্কজ ভালেকর এনসিপি (অজিত পাওয়ার) ছাড়লেন। তাঁরা সকলেই নিজেদের ইস্তফাপত্র জমা দেন অজিত পাওয়ারের কাছে। এখনই অন্যদলে যাচ্ছেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে শরদ পাওয়ারের এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন ঐ চার নেতা। ওই চার নেতার অনুগামীরাও অজিত পাওয়ারের হাত ছেড়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, ভোসারি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন অজিত গাভাহানে। কিন্তু দল তাঁকে ওই আসন দেননি। বিজেপি বিধায়ক মহেশ লাংড়ে গত দু'বার ওই আসন থেকে জিতেছেন।
সোমবার শরদ পাওয়ারের সাথে সাক্ষাত করেন মহারাষ্ট্রের এনডিএ সরকারের মন্ত্রী ও এনসিপি নেতা ছগন ভুজবল। যদিও ঠিক কী কারণে এই সাক্ষাত তা জানাননি এনসিপি নেতা। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, অজিত পাওয়ারের সঙ্গে ইদানীং দূরত্ব তৈরি হয়েছে ভুজবলের। সম্ভবত বিধানসভা নির্বাচনের আগে শরদ পাওয়ারের এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন ভুজবল।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর নেতা রোহিত পাওয়ার দাবি করেছিলেন, মহারাষ্ট্র বিধানসভার বাদল অধিবেশন শেষ হবার পরেই এনসিপি-র অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর ১৮ থেকে ১৯ জন বিধায়ক গোষ্ঠী বদল করবেন। বিধানসভার বাদল অধিবেশন শেষ হয়েছে গত ১২ জুলাই।
২০১৯ মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে শারদ পাওয়ারের এনসিপি জয়ী হয় ৫৪ আসনে। যদিও ২০২৩-এর জুলাই মাসে অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বে এনসিপি-তে ভাঙনের সময় অজিত দাবি করেন তাঁর সঙ্গে ৪০ জন বিধায়কের সমর্থন আছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন