রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগেই পুদুচেরীতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়লো কংগ্রেস সরকার। গত দুদিনে দুই বিধায়কের ইস্তফার জেরে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে কংগ্রেস। এর আগে আরও দুই বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। আগামীকালই বিধানসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে আলোচনার জন্য পুদুচেরী আসছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তার আগেই এই ঘটনায় অস্বস্তিতে কংগ্রেস।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে চার পদত্যাগী বিধায়কের মধ্যে দু’জন ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এই মুহূর্তে রাজ্য বিধানসভার ৩০ আসনের মধ্যে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১০। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এদিনই মন্ত্রীসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।
গত ২৫ জানুয়ারি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন এ নামাশিবায়ম এবং ি থিপাইঞ্জন। এঁরা দুজনেই গত সোমবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এরপর মাল্লাদি কৃষ্ণা রাও এবং জন কুমার বিধায়ক পদ থেকে গত দু’দিনে ইস্তফা দেন। এছাড়াও কংগ্রেসের অপর এক বিধায়ক এন ধানাভেলুকে দলবিরোধী কাজের জন্য আগেই বহিষ্কার করা হয়েছিলো।
উল্লেখ্য, আগামী মে মাসে পুদুচেরি বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা। গত ২০১৬ নির্বাচনে কংগ্রেস জয়ী হয়েছিলো ১৫ আসনে। এছাড়াও কংগ্রেস সরকারকে সমর্থন জানিয়েছিলো ডিএমকে-র ৩ বিধায়ক এবং ১ নির্দল বিধায়ক। কংগ্রেসের বাইরের এই চার বিধায়কদের সমর্থনেই আপাতত সরকার টিকে আছে।
রাজ্যে বিরোধীদের মধ্যে এআইডিএমকে-র ৪ বিধায়ক, এ আইএনআরসি-র ৭ বিধায়ক এবং বিজেপির ৩ মনোনীত সদস্য আছেন। গত দুদিনে দুই বিধায়কের পদত্যাগের পর সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১৫ বিধায়ক। যা থেকে আপাতত ১ বিধায়ক কম আছে কংগ্রেসের। এই পরিস্থিতিতে অনাস্থা আনা হলে পড়ে যেতে পারে কংগ্রেস সরকার। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের আগেই ভেঙে যেতে পারে বিধানসভা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন