কুকি ও মেইতেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে জাতিগত হিংসার ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার পর কেটে গিয়েছে চারমাস। এর মধ্যে শতাধিক প্রাণহাণি, ধর্ষণ-সহ একাধিক নৃশংস অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। এবারে অবশেষে ক্ষয় খতিয়ানের সরকারি হিসেব নিয়ে মুখ খুলল মণিপুর পুলিশ। শুক্রবার মণিপুর পুলিশের তরফে আইজি (অপারেশন) আই.কে মুইভা জানিয়েছেন, “গত ৪ মাসে মণিপুরের জাতিগত হিংসার কারণে অন্ততপক্ষে ১৭৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন ১১০৮ জন এবং ৩২ জন এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ। নিহতদের মধ্যে ৯৬ জনের দেহ শনাক্ত করাই যায়নি।"
গত ৩ মে মণিপুরের শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক হিংসায় বিপর্যস্ত রাজ্যে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা নিয়ে রাজ্যের সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে আইজি মুইভা জানিয়েছেন, “গত চার মাসে রাজ্যে ৪৭৮৯টি বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, মোট ৩৮৬টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ২৫৪টি গির্জা এবং ১৩২টি মন্দির ছিল।”
গত কয়েকমাস যাবৎ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ ছিল, রাজ্যের উন্মত্ত বিক্ষোভকারী জনতা একাধিকবার পুলিশ থানা ও আউটপোস্ট থেকে প্রচুর গোলাবারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র লুঠ করেছে। বিভিন্ন রিপোর্টেও সেই দাবিকে সমর্থন জানানো হয়েছে। এবার শুক্রবার সেই সব দাবিকে প্রায় মেনে নিয়েই ওই আইপিএস অফিসার জানিয়েছেন, পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্রের কোষাগার থেকে ৫,৬৬৮টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং প্রায় ৫ লক্ষ গোলাগুলি লুট করা হয়েছে। এর মধ্যে মোট ১৩৫৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৫ হাজারেরও বেশি ধরণের গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে সবসময় চেষ্টা করা হচ্ছে কীভাবে রাজ্যে আবারও শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন