বর্ষবরণের রাতে নতুন করে সহিংসতা ছড়াল মণিপুরে। গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এরপর রাজ্যের পাঁচটি উপত্যকা জেলায় পুনরায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার নতুন বছরের শুরুর দিন থাওবাল শহর থেকে দশ কিমি পূর্বে লিলং চিংজাও বাজারে একদল দুষ্কৃতী গাড়ি করে এসে বাজারে জমায়েত মানুষদের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই চার জনের মৃত্যু হয়। প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, “একদল লোক গাড়ি নিয়ে বাজারে আসে। তাদের সকলের হাতেই বন্দুক ছিল। এসেই তারা একজনের সাথে কথা বলতে শুরু করেন, তারা আগে থেকেই তাকে চেনেন মনে হচ্ছিল। বন্দুকধারীদের সাথে ওই লোকটির কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরপর আচমকাই বাজারে থাকা সবাইকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে তারা।“
হামলার পর বন্দুকধারীরা গাড়ি ছেড়ে পালায়। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা তাদের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
নববর্ষের দিন এই ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। থাওবাল সংলগ্ন পাঁচ জেলায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। এলাকাবাসীদের শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং।
এক ভিডিও বার্তায় এই ঘটনার নিন্দা করে তিনি বলেন, “নিরীহ লোকদের হত্যার ঘটনায় আমি অত্যন্ত দুঃখিত। অপরাধীদের দ্রুত ধরতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি। আমি হাত জোড় করে লিলংয়ের বাসিন্দাদের অনুরোধ করছি, আপনারা শান্তি বজায় রাখুন এবং অপরাধীদের খুঁজে বের করতে সরকারকে সাহায্য করুন। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আইনের অধীনে ন্যায়বিচার দেওয়ার জন্য যা করার সরকার সব করবে।“
সব মন্ত্রী এবং শাসক দলের বিধায়কদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকও ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রশাসনের তরফ থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, থাউবাল, ইম্ফল পূর্ব এবং ইম্ফল পশ্চিম, কাকচিং এবং বিষ্ণুপুর জেলায় কারফিউ পুনরায় জারি করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নিরাপত্তাকর্মীদের সাথে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়েছে। চারজন পুলিশকর্মী এবং তিনজন জওয়ান আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন