দেশের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মোট শূন্যপদের প্রায় ৪১ শতাংশ পদ এখনও ফাঁকা পড়ে রয়েছে। বুধবার রাজ্যসভায় এমন তথ্যই পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। সিপিআইমের রাজ্যসভার সাংসদ জন ব্রিত্তাস-এর প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই এই তথ্য সংসদে পেশ করেছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান।
বুধবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী সংসদে জানিয়েছেন, ১ জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত দেশের ৪৫টি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৪,৫১২টি পদ ফাঁকা হয়েছিল। যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ২২,৪১২টি পদে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি প্রায় ৪১ শতাংশ পদে এখনও নিয়োগ হয়নি। তিনি এদিন আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পদ শূন্য হলেই তাতে নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়োগের দায়িত্ব স্বাভাবিকভাবে বর্তায় সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিজ (সিইউ)-এর উপর, সংসদীয় আইনের অধীনে তৈরি যা একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা।
ধর্মেন্দ্র আরও জানান, DoPT মিশন পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী সম্প্রতি একটি বিশেষ নিয়োগ কর্মসূচীর মাধ্যমে ৬০৮৭টি পদে নিয়োগ করেছে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিজ। প্রসঙ্গত, DoPT মিশন পোর্টাল হল একটি ইনফরমেশন ও টেকনোলজি বিষয়ক স্বয়ংক্রিয় সংস্থা, যা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা বিভিন্ন মন্ত্রকের শূন্যপদের হিসেব রাখে।
অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার দেশের ৪৫টি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১১,২৮৮.৫৬ কোটি, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ৮৯৬০.৯৪ কোটি এবং ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ৮৬৩৯.০৮ কোটি টাকা খরচ করেছে।
কয়েকদিন আগেই সিপিআইএম সাংসদ এএ রহিম-এর করা প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডঃ সুভাষ সরকার জানিয়েছিলেন, দেশের ৪৫টি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৮২৫টি শিক্ষক/অধ্যাপক পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। যার অর্ধেকেরও বেশি পদ বিভিন্ন খাতে সংরক্ষিত।
তিনি জানিয়েছিলেন, ৫৮২৫টি শূন্যপদের মধ্যে ৮৬১টি পদ তফশিলি জাতি (SC), ৫১৬টি পদ তফশিলি উপজাতি (ST) এবং ১৭০৫টি পদ অন্যান্য পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় (OBC)-এর জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। সাধারণের জন্য ১৬৬২টি পদ ফাঁকা রয়েছে যা মূলত অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপকদের জন্য নির্দিষ্ট।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন