প্রায় ভেঙে পড়েছে বাজার- অর্থনীতি। মাত্রা ছাড়িয়েছে মন্দা। পরিস্থিতি খুবই খারাপ দিকে। এমনই দাবি করে আবার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে অনলাইন টিউটরিং কোম্পানী বেদান্তু। জানা যাচ্ছে, এক ধাক্কায় প্রায় ৪০০ জনের অধিক কর্মীকে ছাঁটাই করার পথে হাঁটতে চলেছে। যার ফলে কর্মচারীদের মধ্যে হাহাকার পড়ে গিয়েছে।
বুধবার, নিজেদের ব্লগপোস্টে বেদান্তের সিইও ভামসি কৃষ্ণ জানিয়েছেন, ‘আমাদের ৫ হাজার ৯০০ কর্মী বাহিনীর মধ্যে ৪২৪ জন, অর্থাৎ কোম্পানির প্রায় ৭ শতাংশ কর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ হবে। এটি করা অত্যন্ত কঠিন একটি সিদ্ধান্ত।‘ একইসঙ্গে, তিনি লিখেছেন, ‘এটি সত্যিকার অর্থেই এটি হৃদয় বিদারক যে, আগামীতে তাঁদের সঙ্গে আর দেখা হবে না। ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমার মনে হয়, এই ধরনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই বাঁচতে হবে। বাজারের বর্তমান পরিস্থিতিই এই সিদ্ধান্তের দিকে নিয়ে গেছে। এটি করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। এটি বলা সহজ নয়, তবে আমি সত্যিই দুঃখিত।‘
বেদান্তু-তে কর্মী ছাটাইয়ের ঘটনা এই প্রথম নয়। গত ৬ মার্চ তাঁরা প্রায় ২০০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করেছিল। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। সেসময় বেদান্তু-র একাধিক প্রাক্তন কর্মী দাবি করেন, তাঁদেরকে পিঙ্ক স্লিপ দেওয়া হয়েছে। তাও বিনা নোটিশেই। কোনওভাবেই কিছু না জানিয়ে আচমকা ছেঁটে ফেলা হয়েছে তাঁদের। তবে, বেদান্তু-র প্রাক্তন কর্মীদের এই অভিযোগ মানতে রাজি হয়নি। তাঁরা দাবি করেন, প্রতি বছর কোম্পানীতে যে সকল কর্মীরা কাজ করেন, তাঁদের একটি রিভিউ করা হয়ে থাকে। সেই রিভিউ অনুযায়ী যাঁদের পারফরমেন্সে কিছু সমস্যা আছে, তাঁরা বাদ পড়ে থাকেন। কিন্তু, এবার তা না বলে, কর্মী ছাঁটাইয়ের কারণ হিসাবে অর্থনীতিক মন্দার কথা তুলে ধরেছেন বেদান্তের সিইও ভামসি কৃষ্ণ।
তবে একথা ঠিক, দেশের চাকরির দৈন্যদশা ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। যে স্টার্ট-আপকে দেশের ভবিষ্যত বলা হচ্ছে, সেই স্টার্ট-আপ ব্যবস্থার দৈন্যদশাও ধীরে ধীরে প্রকট হচ্ছে। এইভাবে কর্মী ছাঁটাই হলে কতদিন বেদান্তের মতো অনলাইন শিক্ষা সংস্থা গুলি টিকে থাকতে পারে- সেটাই এখন দেখার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন