পরিচিত রাজৌরি অথবা পুঞ্চ নয়, জম্মু ও কাশ্মীরে নতুন নতুন জেলায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বিস্তার করতে চাইছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। চলতি বছরের পরিসংখ্যান দেখলেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। ২০২৪ সালে এখনও পর্যন্ত জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে মোট ৪৪ জনের। যার মধ্যে ১৮ জন সেনা জওয়ান রয়েছে।
সময়ের সাথে সাথে জঙ্গিদের হামলা করার ধরণও বদলেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের যেসমস্ত জেলায় অতীতে সন্ত্রাসবাদী ক্রিয়াকলাপ বেশি ছিল সেখানে ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হচ্ছে জঙ্গিরা। তবে অন্যান্য জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে নাশকতার জাল। যা ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আরও চিন্তায় ফেলেছে।
রাজৌরি এবং পুঞ্চ জেলা সীমান্তবর্তী হওয়ায় সর্বাধিক জঙ্গি হামলা এখানেই হত। ভারতীয় সেনার কড়া নজরদারিতে এই দুই জেলায় জঙ্গির প্রভাব কমেছে। কিন্তু রেইসি, কাঠুয়া, উধমপুর, কিস্তওয়ারে, ডোডা এবং জম্মুতে জঙ্গি ক্রিয়াকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছর এখনও পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ১৮ জন সেনা জওয়ান, ১২ জন জঙ্গি এবং কমপক্ষে ১৪ জন সধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৭ জন তীর্থযাত্রীও আছেন বলে খবর।
জঙ্গিরা বর্তমানে প্রযুক্তির ব্যবহার করে নাশকতার ছক কষছে। তারা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ অথবা অন্য কোনও সমাজমাধ্যম দ্বারা সন্ত্রাসবাদী হামলার জাল বুনছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার কিস্তওয়ারে ভিলেজ ডিফেন্স গার্ডের দু'জন কর্মীকে হত্যা করা হয়। রবিবার অর্থাৎ গতকালও সেনা জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কিস্তওয়ার। এক জওয়ান প্রাণ হারান ওই সংঘর্ষে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পর থেকে বেশ শান্ত ছিল উপত্যকা। কিন্তু ২০২৩ সালের প্রথম দিক থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি পায়। ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রায় ৫০০ জঙ্গিকে নিষ্ক্রিয় করেছিল ভারতীয় সেনা। ব্যাপক নজরদারির কারণে কমতে থাকে হামলার সংখ্যা। ২০২২ সালে প্রায় ১০০ জন স্থানীয় যুবক জঙ্গি গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিল। ২০২৩ সালে তা কমে হয় ২৫ জন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন