ভারতের বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে প্লেসমেন্টের হার। চলতি বছর প্রায় ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে সদ্য পাশ করা ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগের হার। প্রতিষ্ঠানগুলির তরফেই জানানো হয়েছে এই কথা।
করোনা অতিমারির পর থেকে একাধিক মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে। এখনও অব্যাহত রয়েছে ছাঁটাই। আর্থিক সঙ্কটের সাথে মোকাবিলা করার জন্য এবার কর্মী ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি সদ্য পাশ করা ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগেও রাশ টানছে কোম্পানিগুলি। এই তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে তথ্য-প্রযুক্তি কোম্পানিগুলি।
কোম্পানিগুলির এই নিয়োগে রাশ টানার কারণে মুশকিলে পড়েছে বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোম্পানিগুলি সদ্য পাশ করা নতুন ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগে আপত্তি প্রকাশ করায় কর্তৃপক্ষকে তাঁদের ছাত্র-ছাত্রীদের নতুন করে ভাবনা-চিন্তা করতে হচ্ছে। বিএমএল মুঞ্জাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেরিয়ার গাইডেন্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের প্রধান সন্তনীল দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, "কোম্পানিগুলি এখন খুব ভেবে-চিন্তে নিয়োগ করছে। বিশেষ করে সদ্য পাশ নয়া ইঞ্জিনিয়ারদের এই মুহূর্তে নিতেই চাইছে না তারা। পরিবর্তে অভিজ্ঞদের চাহিদা একটু হলেও বেশি।"
তিনি আরও জানিয়েছেন, “গত বছর এই সময় ৬৩ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রীকেই নিয়োগ করা হয়ে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে ৯৫ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী গত বছর চাকরি পেয়েছিল। কিন্তু এই বছর এখনও পর্যন্ত মাত্র ২০-২৫ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী চাকরি পেয়েছে।”
অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির তরফেও প্রায় একই কথা জানানো হয়েছে। অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লেসমেন্ট বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর অঞ্জলী কুমার ভাটনগর জানিয়েছেন, “চলতি বছর এখনও পর্যন্ত মেরেকেটে মাত্র ৩০ শতাংশ পড়ুয়ার নিয়োগ হয়েছে। গত বছর যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রীর নিয়োগ হয়েছিল।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন