নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA), জাতীয় নাগরিক পঞ্জি(NRC) 'অপ্রয়োজনীয়' এবং 'অপব্যয়ী অনুশীলন'। CAA-এর সাংবিধানিক গুরুত্ব নেই। এই আইনের দ্বারা সচেতনতার সাথে মুসলিম সম্প্রদায়কে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। একটি খোলা চিঠিতে এই দাবি করলেন দেশের শতাধিক অবসরপ্রাপ্ত আমলা।
'ভারতের CAA-NRC-NPR-এর প্রয়োজন নেই'- এই শিরোনাম দেওয়া ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, "CAA-এর সাংবিধানিক মূল্য নিয়ে আমাদের গুরুতর সন্দেহ রয়েছে। এই আইনকে আমরা নৈতিকভাবে অসমর্থনীয় বলেও বিবেচনা করি। আমরা জোর দিয়ে বলছি এই আইনের সাহায্যে সচেতনতার সাথে মুসলিম সম্প্রদায়কে তাদের আধিপত্য থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যারা এই দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ।"
চিঠি পড়তে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন -
চিঠিতে বলা হয়েছে, "এটা এমন সময় তৈরি করা হয়েছে যখন দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দিকে সরকারের সবথেকে বেশি মনোযোগ দেওয়ার দরকার ছিল। বর্তমানে এই আইনের ফলে সরকার ও জনতা মুখোমুখি সংঘর্ষে রাস্তায় নেমেছে। বেশিরভাগ রাজ্য সরকার এনসিআর, এনপিআরের বাস্তবায়নে উদ্যোগী নয়। ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে এই পরিস্থিতি হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।"
"এই আইনের মাধ্যমে ভারত এমন একটি পরিস্থিতির তৈরি করছে যার ফলে আন্তর্জাতিক মহলে আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক খারাপ হবে", বলা হয়েছে চিঠিতে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, "আমাদের মতো প্রাক্তন আমলারা তাঁদের দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে স্পষ্টভাবে বুঝেছি NPR ও NRC অপ্রয়োজনীয় এবং অপব্যয়ী প্রয়োগ, যা সাধারণ মানুষকে খুব অসুবিধায় ফেলবে। এর ফলে যে পরিমাণ খরচ হবে তা গরীব মানুষের জন্য কল্যাণকর কোনো প্রকল্পে ব্যয় করলে গরীব মানুষরা উপকৃত হবে।"
চিঠিতে স্বাক্ষর রয়েছে দিল্লির প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নাজিব জং, তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদের সচিব কে এম চন্দ্রশেখর, প্রাক্তন মুখ্য তথ্য কমিশনার ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাহ সহ মোট ১০৬ জন প্রাক্তন আমলার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন