আবারও সামনে এলো আরও এক ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা। এবার ৫২ কোটি টাকা। ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এই ঘটনায় সিবিআই দিল্লি ভিত্তিক এক সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। সূত্র অনুসারে ওই সংস্থার আধিকারিকরা ২০১৯ সালেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
এনডিটিভিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে ফাইভ কোর ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড নামক সংস্থা এবং ওই সংস্থার ডিরেক্টর অমরজিত কালরা, সুরিন্দর সিং কালরা, জগজিত কাউর এবং সুরিন্দর কাউর কালরা এই ঘটনায় দোষী। তাঁদের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ, জালিয়াতি এবং দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানা গেছে গত ২০১৯ এর নভেম্বর মাসেই এই সংস্থাকে ‘প্রতারক’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছিলো। এরপরেই সম্পূর্ণ বিষয়টি জানানো হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে। সূত্র অনুসারে এই বছরের ৩ জুন সিবিআইকে এই ব্যাঙ্ক জালিয়াতি সম্পর্কে জানানো হয়েছে। তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পারে যে গত ২০১৯ সালেই ওই সংস্থার আধিকারিকরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
ব্যাঙ্ক সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে, গত ২০১৫ সালে দিল্লি ভিত্তিক ওই সংস্থা ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে। যারা ইলেক্ট্রিকাল এবং ইলেক্ট্রনিক দ্রব্য রপ্তানির ব্যবসায় যুক্ত ছিলো। ২০১৯ সালে ঋণ না মেটানোর জন্য ওই সংস্থার অ্যাকাউন্টকে নন পারফর্মিং অ্যাসেট হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ব্যাঙ্কের অভিযোগ, সংস্থার ফরেনসিক অডিট থেকে জানা গেছে সংস্থার আর্থিক হিসেবে বেআইনি ভাবে অন্য সংস্থায় টাকা পাঠানো, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ সহ একাধিক বেনিয়ম ছিলো।
গত ৩ জুন এক ট্যুইট বার্তায় সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন – সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত সঞ্চয় থেকে লুট হওয়া টাকার যদি আংশিক উদ্ধারও মোদী সরকার নিশ্চিত করতে পারে তাহলে সেই টাকায় ভ্যাকসিনেশনের এবং বিনামূল্যে সকলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে।
তাঁর আরও দাবি - ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপীদের কাছ থেকে অবিলম্বে এই টাকা উদ্ধার হোক। তাঁর ট্যুইটের সঙ্গে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী ১৮ ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মোট বকেয়া ঋণের পরিমাণ ৮,৫০,৭৪৯ কোটি টাকা। যারা সকলেই ঋণখেলাপী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন