নয় শতাংশ হারে ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্পে তালা ঝুলেছে। অর্থাৎ, অতিমারির জেরে প্রতি ১০০টিতে ন'টি হিসেবে প্রায় ৫৭ লক্ষ ছোট-মাঝারি সংস্থার শ্রমিক কর্মহীন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সংসদে রাহুল গান্ধী এবিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। তার প্রেক্ষিতে স্বীকার করে নিল কেন্দ্রীয় ছোট-মাঝারি শিল্প মন্ত্রক। জানাল, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০-তে ব্যবসায়ীদের আত্মহত্যার সংখ্যাও বেড়েছে। তবে কতজন ছোট-মাঝারি শিল্প ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন, সে তথ্য সরকারের কাছে নেই।
প্রসঙ্গত, গত বেশ কয়েকদিন ধরে তৃণমূল এবং কংগ্রেসকে কার্যত প্রতিপক্ষ হিসেবে রাজনীতির ময়দানে লড়তে দেখা গিয়েছে। তৃণমূল নিজেদের বিস্তার বাড়াতে ইউপিএ নেই তত্ত্ব খাড়া করার চেষ্টা করে। যদিও বিরোধী জোটের অন্য দলগুলো সেই তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছে। দুই দলে একই পথে আসার কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে তৈরি না হলেও এই ইস্যুতে রাহুল গান্ধী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একই সুরে প্রশ্ন করতে দেখা যায়।
রাহুলের প্রথম প্রশ্ন ছিল, সরকার কি ছোট-মাঝারি শিল্পের কতজন ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন, তা জানে? ছোট-মাঝারি শিল্পমন্ত্রী নারায়ণ রাণে জানান, জাতীয় অপরাধ খতিয়ান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ৯০৫২ জন থেকে ২০২০ সালে বেড়ে ১১,৭১৬-তে পৌঁছয় ব্যবসায়ী আত্মহত্যার সংখ্যা। তবে এর মধ্যে কত জন ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ী, তার হিসেব নেই। এই হিসেব মন্ত্রক রাখে না।
সরকারের বক্তব্য, গত বছর অগস্টে, লকডাউনের পর ‘ন্যাশনাল স্মল ইন্ড্রাস্ট্রিজ কর্পোরেশন’-এর সমীক্ষায় দেখা যায়, ৯১ শতাংশ ছোট-মাঝারি সংস্থা চালু থাকলেও, ৯ শতাংশ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, দেশে প্রায় ৬.৬৩ কোটি ছোট-মাঝারি সংস্থা রয়েছে। অর্থাৎ, ৫৭ লক্ষ সংস্থা বন্ধ হয়েছে।
রাহুল দাবি করেছেন, ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলি ঋণ শোধ করতে না পারায় অনুৎপাদক সম্পদের (এনপিএ) পরিমাণ বাড়ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন