দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত মামলায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে প্রাণ গেল একই পরিবারের ৫ সদস্য-সহ মোট ৬ জনের। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও জেলা প্রশাসনকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সবরকম সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, দেওরিয়া জেলার ফতেপুর গ্রামে একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভ্যন্তরীন বিবাদ ছিল গ্রামের দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রেম যাদব ও সত্যপ্রকাশ দুবে’র মধ্যে। সোমবার জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্ম জয়ন্তীর সকালে আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার জন্য সত্যপ্রকাশ দুবে’র বাড়িতে যান প্রেম যাদব। কিন্তু সেখানে সত্যপ্রকাশের সঙ্গে কথাবার্তা চলাকালীনই তাঁর পরিবারের এক মহিলা ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রেম যাদবকে আক্রমণ করেন। তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হয় তাঁর।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, মুহূর্তের মধ্যে প্রেম যাদবের মৃত্যুর খবর সারা গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তার অনুগামীরা বিশাল সংখ্যায় এসে সরাসরি হামলা চালায় সত্যপ্রকাশের বাড়িতে। সেই হামলাতেই প্রাণ হারান ৫৪ বছর বয়সী সত্যপ্রকাশ, তাঁর স্ত্রী কিরণ দুবে, দুই কন্যা সালোনি ও নন্দিনী এবং তাঁর পুত্র গান্ধী। এই হত্যাকাণ্ডের পর গোটা গ্রামে থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী।
স্থানীয় পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, “ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই মামলায় তদন্তও শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। তবে গোটা গ্রামে এখনও শ্মশানের নীরবতা বর্তমান।”
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সবরকম সহায়তার জন্য ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পাশাপাশি, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের বিরদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন