রাজীব গান্ধী হত্যা (Rajiv Gandhi assassination) মামলায় ঐতিহাসিক নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (the Supreme Court)। প্রায় ৩৩ বছর পর, রাজীব খুনে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নলিনী শ্রীহরন (Nalini Sriharan)-সহ মোট ৬ জনকে মুক্তি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে, শীর্ষ আদালতের এই রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস (Congress)।
এর আগে গত ১৮ মে, সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের অধীনে বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে রাজীব হত্যাকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত এ জি পেরারিভালানকে (AG Perarivalan) মুক্তি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
শুক্রবার, সেই মামলা বিবেচনা করতে গিয়েই এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি বি আর গাভাই (Justice B R Gavai) এবং বিচারপতি বি ভি নাগারথনার (Justice B V Nagarathna) বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, বাকি আসামিদের ক্ষেত্রেও একই আদেশ প্রযোজ্য হবে।
আদালত আরও জানিয়েছে যে, ২০১৮ সালে এই সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির জন্য রাজ্যপালকে সুপারিশ করেছিল তামিলনাড়ু সরকার (Tamil Nadu Govt.)।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত নলিনী ছাড়াও মুক্তি পেয়েছেন শ্রীহরন (Sriharan), সান্থান (Santhan), মুরুগান (Murugan), রবার্ট পায়াস (Robert Payas) এবং আর পি রবিচন্দ্রন (RP Ravichandran)।
১৯৯১ সালের ২১ মে, তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) শ্রীপেরামবুদুরে (Sriperumbudur) এক জনসভায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজবী গান্ধী (Rajiv Gandhi)। জানা যায়, প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলাম (LTTE)-র ধানু (Dhanu) নামে এক আত্মঘাতী মহিলা জঙ্গি বোমার সঙ্গে উড়িয়ে দিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে।
এরপর, রাজীব হত্যায় দোষী সাতজনের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু, ২০১৪ সালে দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত।
কিন্তু, এই দোষীদের মুক্তির ব্যাপারে সওয়াল করে তামিলনাড়ু সরকার। সরকারের সেই আবেদনের ভিত্তিতেই দফায়-দফায় খুনিদের মুক্তি দিল শীর্ষ আদালত।
এ দিকে, রাজীব গান্ধীর খুনিদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রামেশ (Jairam Ramesh) বলেন, 'প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর বাকি খুনিদের মুক্তির জন্য সুপ্রিম কোর্ট যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য এবং পুরোপুরি ভুল। কংগ্রেস স্পষ্ট ভাষায় এই ঘটনার নিন্দা জানায়। এটি খুবই দুঃখজনক যে, সুপ্রিম কোর্ট ভারতের চেতনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কাজ করেনি।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
