বহু যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রেল কর্তৃপক্ষ। লাইনে মালগাড়িকে জায়গা ছেড়ে দিতে প্রায় ৬৭০টি যাত্রীবাহী ট্রেন সাময়িকভাবে বাতিল করা হচ্ছে। রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে একটি বিভাগীয় বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গেছে।
ভারতীয় রেল সূত্রের খবর, আগামী ২৪ মে পর্যন্ত রোজ গড়ে ১৬টি করে মেল, এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। এগুলির মধ্যে অন্তত ৫০০টি দূরপাল্লার ট্রেন। তবে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের ওই ট্রেনগুলিকে ফিরিয়ে আনা হবে। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই মালগাড়ি চলাচলকে অগ্রাধিকার দিতে কিছু যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিল করা হতে পারে বলে জল্পনা শোনা গিয়েছিল।
কিন্তু কেন হঠাৎ যাত্রিবাহী ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো? রেলমন্ত্রক সূত্রের খবর, গরমের বাড়তেই বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, রাজস্থান সহ একাধিক রাজ্যে ব্ল্যাকআউটের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দেশের মোট বিদ্যুতের ৭০ শতাংশ উৎপাদিত হয় কয়লা থেকে। তাই কয়লা সরবরাহের পরিমাণ বাড়াতে দ্রুত মালগাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে রোজ গড়ে সাড়ে তিন হাজার টন বহনক্ষমতাসম্পন্ন ৪১৫টি কয়লাবাহী ট্রেন চালাতে হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ে ওই কয়লাবাহী ট্রেনগুলিকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, কয়লাবাহী ট্রেনকে অগ্রাধিকার দিতে আরও কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা যায় কিনা, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে বলে রেলমন্ত্রক সূত্রের খবর। ভারতীয় রেলের কার্যনির্বাহী পরিচালক গৌরবকৃষ্ণ বনশল জানিয়েছেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লা পৌঁছনোর সময় কমাতে তাঁরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আরও এক লক্ষ কয়লাবাহী ওয়াগন নামানোর চিন্তাভাবনাও চলছে।
ভারতীয় রেলের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কৃষ্ণা বনশল জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আপাতত প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সময়সীমা পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কম সময়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন