দেশের ৩৮টি পাবলিক সেক্টর ইউনিট পি এম কেয়ারস ফান্ডে ২,১০৫ কোটি টাকা দান করেছে। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বুধবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে ট্যুইট বার্তায় সীতারাম ইয়েচুরি বলেন – বহু আপত্তি সত্ত্বেও আগামী দু বছরের জন্য সমস্ত সাংসদদের এম পি ল্যাড থেকে ১০ কোটি টাকা করে পিএম কেয়ারস ফান্ডে জমা দেবার এক্সিকিউটিভ অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
এদিনের ট্যুইটে সীতারাম ইয়েচুরি আরও বলেন - মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের উপসংহার অনুসারে কীভাবে এটা স্বেচ্ছাসেবী দান হতে পারে? পি এম কেয়ারস ফান্ডে কোনো স্ক্রুটিনি করা যাবে না। সরকারী কর্মচারীদেরও এই ফান্ডে টাকা জমা দিতে বলা হচ্ছে। ৩৮ টা পিএসইউ এই ফান্ডে ২,১০৫ কোট টাকা দিয়েছে। কীভাবে এই ফান্ডকে সমস্ত অডিট, স্ক্রুটিনির আওতা থেকে বাদ রাখা হয়?
উল্লেখ্য, সীতারাম ইয়েচুরি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের যে প্রতিবেদন তার বক্তব্যের সঙ্গে শেয়ার করেছেন সেই প্রতিবেদন অনুসারে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এই তথ্য জানতে পেরেছে।
গত ২৮ মার্চ পি এম কেয়ারস ফান্ড তৈরি করা হয়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুসারে, আগস্ট মাসের ১৩ তারিখ পর্যন্ত ৫৫টি পিএসইউ-র কাছে আবেদন পাঠানোর পর ৩৮টি সংস্থা আরটিআই-এর উত্তর দিয়েছে। যেখান থেকে জানা গেছে এই ৩৮টি পিএসইউ এই সময়ে পি এম কেয়ারস ফান্ডে ২,১০৫.৩৮ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। এই সমস্ত টাকাই দেওয়া হয়েছে অব্যবহৃত সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটি ফান্ড থেকে বলেও এইসব সংস্থা জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পি এম কেয়ারস ফান্ড আরটিআই-এর আওতায় নয়। এই বিষয়ে আদালতে একাধিক আবেদন করা হলেও এখনও পর্যন্ত এই ফান্ড আর টি আই-এর আওতার বাইরে বলে জানানো হয়েছে। এই সংস্থার ওয়েবসাইটেও দান সংক্রান্ত কোনো তথ্য দেওয়া হয়না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ওই প্রতিবেদন জানাচ্ছে ৩৮ পিএসইউ-র মধ্যে পি এম কেয়ারস ফান্ডে সবথেকে বেশি টাকা দিয়েছে ওএনজিসি। যার পরিমাণ ৩০০ কোটি। এছাড়াও এনটিপিসি দিয়েছে ২৫০ কোটি, ইন্ডিয়ান অয়েল ২২৫ কোটি, পাওয়ার ফিনান্স এবং পাওয়ার গ্রিড ২০০ কোটি করে, এনএমডিসি ১৫৫ কোটি, আরইসি ১৫০ কোটি, বিপিসিএল ১২৫ কোটি, এইচপিসিএল ১২০ কোটি, কোল ইন্ডিয়া ১০০ কোটি, হাডকো এবং গেল ৫০ কোটি করে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন