তামিলনাড়ুতে এক বাজি কারখানায় ভয়ংকর বিস্ফোরণ। জানা গেছে, এই বিস্ফোরণের ফলে কমপক্ষে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন মহিলা রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর শিবাকাশীর কাছে এক বাজি কারখানায়।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও দমকল কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে। আহতদের উদ্ধার করে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার মতে, আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
জেলা এসপি কে ফিরোজ খান আবদুল্লাহ সংবাদমধ্যমে জানিয়েছেন, "এটি একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাজি কারখানা। অভিনব আতশবাজি তৈরি করে এরা। আমাদের প্রাথমিক অনুমান, রাসায়নিক মিশ্রনের সময় ঘর্ষণের কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।" হতাহতদের মধ্যে সকলেই শ্রমিক।
তামিলনাড়ুর শিবাকাশী আতশবাজি উৎপাদন কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত। ভারতের আতশবাজির রাজধানী বলা হয় শিবাকাশীকে। আতশবাজি, দেশলাই এবং অন্যান্য এই জাতীয় সামগ্রীর অনেকটাই এখান থেকে আসে। শিবাকাশী থেকে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বাজি সরবরাহ হয়।
কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে একের পর এক মারাত্মক বিস্ফোরণ ঘটছে শিবাকাশীর বিভিন্ন বাজি কারখানায়। গত বছরের অক্টোবরেই ১৫ দিনেরও কম সময়ে ব্যবধানে একাধিক বিস্ফোরণে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি মাসে পাথর কোয়ারিতে বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অধিক লাভের আশায় উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও অনেক বেশি কর্মী মোতায়েন করছেন মালিকরা। এদের অধিকাংশেরই বাজি তৈরির সঠিক প্রশিক্ষণ নেই। অগ্নি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ডক্টর ভি শ্রীরাম বলেন, "কারখানায় ৯৯ শতাংশ বিস্ফোরণ ঘটে মানুষের ত্রুটির কারণে। কোন রাসায়নিকের সাথে কোন রাসায়নিক কতটা মেশাতে হবে, তার সঠিক জ্ঞান অনেকেরই নেই।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন