এনডিএ-তে যোগ দেওয়ার আট মাসের মধ্যে এনসিপি নেতা (অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী) প্রফুল প্যাটেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার ক্লোজার রিপোর্ট দিল সিবিআই। প্রফুল প্যাটেল বর্তমানে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন জোটের অন্যতম নেতা।
ইউপিএ সরকারের আমলে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী ছিলেন প্রফুল প্যাটেল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তৎকালীন সরকারি বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার লাভজনক রুট বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া এবং বিশেষ এজেন্সি মারফত বিমান কেনার বিনিময়ে ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সুবিধা নেওয়া। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ২০১৭ সালে ইডি এবং সিবিআই – উভয় কেন্দ্রীয় সংস্থা প্রফুল প্যাটেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। সিবিআই
মোট চারটি এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই। গত ১৯ মার্চ দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে প্রথম অর্থাৎ মূল এফআইআর-এর ক্লোজার রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই। রিপোর্টে সিবিআই জানিয়েছে, প্রফুল প্যাটেলের বিরুদ্ধে অন্যায়ের কোনও প্রমাণ নেই। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে এই রিপোর্ট গ্রহণ করবে নাকি তদন্ত চলবে। আদালত আগামী ১৫ এপ্রিল সিবিআইয়ের আবেদন বিবেচনার দিন ধার্য করেছে। বাকি মামলার তদন্ত এখনও অব্যাহত রয়েছে।
সিবিআই-এর এফআইআর-এ বলা হয়েছে, তৎকালীন বিমান মন্ত্রী প্রফুল প্যাটেল ন্যাশনাল এভিয়েশন কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NACIL) নামক একটি সংস্থার থেকে কমপক্ষে ১৫টি ব্যয়বহুল বিমান কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স একীভূত হয়ে NACIL সংস্থা গঠিত হয়। এফআইআর-এ পরিষ্কার বলা ছিল, অসৎ উপায়ে এই বিমানগুলি কেনা হয়েছিল।
গত বছর এনসিপি-তে ভাঙন ধরিয়ে একাধিক বিধায়ক নিয়ে শিন্ডে-বিজেপি গোষ্ঠীর সাথে হাত মেলান অজিত পাওয়ার। তখন পুরনো গোষ্ঠীতেই ছিলেন প্রফুল। প্রায় সপ্তাহ দুই পরে অজিত পাওয়ারের হাত ধরেন তিনি। এরপরই ধীরে ধীরে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা গোটাতে শুরু করে সিবিআই। বিরোধীদের অভিযোগ, এনডিএ শিবিরে যোগ দেওয়ার পুরস্কার পেলেন প্রফুল প্যাটেল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন