গুজরাটের এক গেমিং জোনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে মৃত্যু হল কমপক্ষে ২৮ জনের। নিহতের মধ্যে ৯ শিশুও রয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় রাজকোটের নানা-মাওয়া সড়কের উপর থাকা টিআরপি গেমিং জোনে এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে। গেমিং জোন তখন শিশু ও তাঁদের পরিজনদের ভিড়ে পরিপূর্ণ ছিল।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এসিপি) বিনায়ক প্যাটেল জানান, "দেহগুলি একেবারে পুড়ে গেছে। বাইরে থেকে চেনার উপায় নেই। মৃতদেহগুলি শনাক্ত করতে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেছি আমরা।"
রবিবার সকালে নানা-মাওয়া রোডের উপর অবস্থিত ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। সেখান থেকে হাসপাতালে যান তিনি, যেখানে আহতদের চিকিৎসা চলছে। এসিপি জানিয়েছেন, গুরুতর আহত তিন জনের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।
এই ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্তকারী দল (সিট) গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিটকে। গেমিং জোনের মালিক ও ম্যানেজারকে আটক করা হয়েছে।
সাধারণত এই ধরনের গেমিং জোন ঘেরা জায়গায় তৈরি করা হয়। কার রেসিং থেকে শুরু করে নানা ধরনের ইনডোর এবং আউটডোর গেমের ব্যবস্থাও থাকে সেখানে। মজুত থাকে টায়ার, প্লাস্টিকের মতো অতিদাহ্য পদার্থ। তাই দ্রুত আগুন ছড়িয়েছে বলে অনুমান। তবে আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।
এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু সহ অনেকেই।
রাজ্য সরকার মৃতদের পরিবার পিছু ৪ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন