কোনও বিচার ছাড়াই ১০ জনের মধ্যে ৯ জন বন্দী রয়েছেন দিল্লির কারাগারে। অর্থাৎ, ৯০ শতাংশ ব্যক্তি বিনা বিচারে আটক রয়েছেন দেশের রাজধানীর জেলে। মঙ্গলবার, এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছে ইন্ডিয়া জাস্টিস রিপোর্ট (IJR)।
রিপোর্টে উল্লেখ, দেশে জেলে বন্দীর সংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ২০১০ সালে বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে জেলে থাকা মোট বন্দীর সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৪০ হাজার। কিন্তু, গত ১১ বছরের মধ্যে সেই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। অর্থাৎ, ২০২১ সালে জেল বন্দীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার।
জানা যাচ্ছে, আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম এবং ত্রিপুরায় জেল বন্দীর সংখ্যা ৭৭ শতাংশ বেড়েছে। বাকি রাজ্যগুলিতে জেল বন্দীর সংখ্যা বেড়েছে ৬০ শতাংশের উপর।
এছাড়া, প্রিজন স্ট্যাটিস্টিক্স ইন্ডিয়া (PSI) ও ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (NCRB) -র তথ্য অনুসারে জানা যাচ্ছে, ২০২০ সালের মোট গ্রেপ্তার হওয়া মানুষের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৩৯ লক্ষ। ২০২১ সালের শেষে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ৪৭ লক্ষে। অর্থাৎ, এক বছরের মধ্যে জেলবন্দীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৮ লক্ষ।
তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালের শেষে ১,৩১৯ টি কারাগারে মোট বন্দীর সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৫১১ জন। ২০২১ সালের শেষে, সেই সংখ্যা ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৫৪ হাজার ৩০ জনে।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২০ সালে আদালতে আসা বা বিচারাধীন বন্দির সংখ্যা ছিল ১৫ লক্ষ ৫০ হাজার। ২০২১ সালের শেষে তা পৌঁছেছে ২০ লক্ষ ৯০ হাজারে। এছাড়া, এই একবছরের সময়কালে চিকিৎসাধীন বন্দীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৬০ হাজার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৪০ হাজারে।
জানা যাচ্ছে, সারাদেশে জেলগুলিতে সামগ্রিকভাবে বন্দী ধারনের ক্ষমতা ১৩০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। যদিও, মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় করোনা বিধি মেনে জেলবন্দীর সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালের মার্চ থেকে জুলাইয়ের মধ্যে ১৭ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৯৩ হাজার ৫২৬ জন বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন