নাটক করে বিপ্লব দেব পার পাবেন না। তিনি যেসব জনতার রায় সম্পর্কে যা করছেন তা নাটক। সম্পূর্ণ প্রহসন। এভাবে গণভোট করে কিছু হয়না। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের জনসভা থেকে পদে থাকার সিদ্ধান্ত নেবার প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে একথা জানিয়েছেন সিপিআই(এম) ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাস।
এদিন তিনি আরও বলেন - মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে মানুষের সমস্যা নিয়ে কোনো কথা নেই। এখানে সমস্ত লুট চলছে। দপ্তরে দপ্তরে কাজ নিয়ে বখরা। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। পানীয় জল নেই। রাস্তা ঘাটের অবস্থা খারাপ। বিদ্যুৎ পাঁচ বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত ঠিকেদারী কাজ যাচ্ছে বাইরের লোকের কাছে। আগের কাজের বিলও দেওয়া হয়নি। মানুষ খুব দুর্ভোগে রয়েছে।
রাজ্যে অবস্থানরত শিক্ষকদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে এদিন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক বলেন - রাজ্যে ১০,৩২৩ জন শিক্ষক শীতের রাতে তাঁদের দাবী নিয়ে গণ অবস্থান করছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, দু’মাসের মধ্যে সমস্যার সমাধান করবেন। সুপ্রিম কোর্টের কাছে আগস্ট মাসে হলফনামা দিয়ে বলা হয়েছে এঁদের সরকারি দপ্তরে নিয়োগ করা হবে। এটা ডিসেম্বর মাস। এখনও কিছু হয়নি। একের পর এক প্রতিশ্রুতির খেলাপ। এঁদের পেটে লাথি মারা হয়েছে। পরিকল্পনা করা হচ্ছে এঁদের জোর করে অবস্থান থেকে তুলে দেওয়া হবে।
রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এদিন তিনি বলেন - রাজ্যে সাম্প্রতিক সময়ে অপহরণ খুব বেড়ে গেছে। আইন শৃঙ্খলার কথা যত কম বলা যায় ততই ভালো। মানুষ উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। আমরাও উদ্বেগ জানিয়েছি। রাজ্যে সন্ত্রাসবাদীদের কার্যকলাপ বাড়ছে। তাতে সরকারি মদত রয়েছে। বর্তমান এক সাংসদের নির্দেশে অপহরণকারীরা কাজ করছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। বামফ্রন্ট সরকারের সময় বিশেষ বাহিনী তৈরি করা হয়েছিলো। এখন সেই সব বাহিনী তুলে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন রাস্তায় রাহাজানি হচ্ছে। মানুষের নিরাপত্তা নেই।
সম্প্রতি বিজেপির অন্দরে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে নিয়ে তুমুল ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকেও তাঁকে সরাতে চান দলেরই একাংশ। স্লোগান উঠেছে, 'বিপ্লব হঠাও, বিজেপি বাঁচাও'। এতে দুঃখ পেয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। জানিয়েছেন, এবার 'জনাদেশ' পেলে তবেই থাকবেন ক্ষমতায়। বিপ্লবের কথায়, রবিবার একটি সভা ডেকে তিনি রাজ্যবাসী এবং তাঁর সমালোচকদের সঙ্গে কথা বলবেন। সেই সভায় যে কেউ যোগ দিতে পারবেন। সেখানেই জেনে নেবেন, আগামী দিনে নিজের পদে বহাল থাকবেন কিনা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন