হাথরসের নির্যাতিতাকে নৃশংসভাবে গণধর্ষণ করা হয়েছিল এবং অত্যাচারের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। চার্জশিটে অভিযুক্ত চার জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও হত্যার চার্জ এনে শুক্রবার একথা জানালো তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।হাথরসের একটি আদালতে আজ এই মামলার চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই।
গত সেপ্টেম্বর মাসে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ১৮ বছরের এক দলিত তরুণীকে নৃশংসভাবে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠে চার তথাকথিত উচ্চবর্ণের ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার শিরদাঁড়া ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর জিভ কেটে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল। প্রায় ১৫ দিন ধরে হাসপাতালে লড়াই করার পর মারা যান ওই তরুণী। নির্যাতিতার পরিবারকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে রাতের অন্ধকারেই তড়িঘড়ি নির্যাতিতার দেহ দাহ করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। যোগী সরকারের বিরুদ্ধে অপরাধীদের আড়াল করার অভিযোগও উঠে। ক্ষোভের মুখে মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই কর্তৃক এই তদন্তভার পর্যবেক্ষণ করবে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আজ হাথরসের একটি আদালতে এই মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে সিবিআই। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ আনার পাশাপাশি তফশিলি জাতি/উপজাতি অপরাধ নিয়ন্ত্রণ আইনেও চার্জ গঠন করেছে সিবিআই।
এর আগে এই মামলার মূল অভিযুক্ত জেল থেকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে চিঠি লিখে "ন্যায় বিচার" চেয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন তাঁকে এবং অন্য তিন অভিযুক্তকে এই মামলায় ব্যবহার করা হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ নির্যাতিতার মা এবং ভাই অত্যাচার করেছে নির্যাতিতাকে। যদিও নির্যাতিতার পরিবার এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আগামী ২৭ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন