প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'মন কী বাত' অনুষ্ঠান চলাকালীন থালা বাজিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কৃষকরা। গাজীপুর সীমান্ত ও সিঙ্ঘু সীমান্ত ছাড়াও পাঞ্জাবের ফরিদকোট এবং বিজেপি শাসিত হরিয়ানার রোহতকেও এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল কৃষক সংগঠনগুলির তরফ থেকে।
গত রবিবার কৃষক আন্দোলনের একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করার সময় এই "থালি বাজাও" কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কৃষক আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ স্বরাজ ইন্ডিয়ার প্রধান যোগেন্দ্র যাদব জানিয়েছিলেন, "আগামী ২৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী যখন তাঁর মাসিক রেডিও অনুষ্ঠান মন কী বাত-এ বক্তৃতা দেবেন, কৃষকরা তখন তারা বাজাতে বাজাতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করবেন, 'আমরা আপনার মন কি বাত শুনতে শুনতে ক্লান্ত, আপনি কখন আমাদের মন কি বাত শুনবেন?' আমরা এতোটাই জোরে জোরে থালা বাজাবো যে প্রধানমন্ত্রীর মন কী বাত-এর আওয়াজ আমাদের কান পর্যন্ত আসবে না।"
দেশে করোনা ভাইরাসের দাপট শুরু হওয়ার পরপরই ফ্রন্টলাইনে থাকা করোনা যোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানাতে সমস্ত দেশবাসীকে থালা বাজাতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেইসময় বহু মানুষ রাস্তায় নেমে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং ভেঙে এক জায়গায় জড়ো হয়ে থালা বাজিয়েছিলেন, যার জন্য বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করেই থালি বাজাও কর্মসূচি নিয়েছে কৃষকরা। প্রধানমন্ত্রীর মন কী বাত অনুষ্ঠান চলাকালীন দেশের বিভিন্ন জায়গায় কৃষকদের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে থালা, টিন ইত্যাদি বাজাতে দেখা গিয়েছে।
অপরদিকে বিজেপির ইউটিউব চ্যানেল থেকে সম্প্রচারিত প্রধানমন্ত্রীর মন কী বাত অনুষ্ঠানে লাইকের তুলনায় ডিসলাইকের সংখ্যা দ্বিগুণ। এই প্রতিবেদন লেখার সময় দুপুর ৩.১০ মিনিটে ভিডিওটিতে লাইকের সংখ্যা ৪.৮ হাজার, ডিসলাইকের সংখ্যা ৯.৩ হাজার।
গত এক মাসের বেশি সময় ধরে নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যেই সরকারের সাথে পাঁচ দফা বৈঠক করেছে আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। কিন্তু সবগুলো বৈঠকই ব্যর্থ হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ফের একবার সরকারের সাথে বৈঠকে বসতে চলেছেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন