শুধুমাত্র ব্যবসায়ীর নাবালক পুত্রই নয়, পোর্শে দুর্ঘটনায় জড়িত আছে এক বিধায়ক পুত্রও। ওই বিধায়ক প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাইছে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে।
মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সভাপতি নানা পাটোলে অভিযোগ করেন, বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে), এনসিপি (অজিত পাওয়ার) মিলে একটা নেক্সাস চালাচ্ছে। পুলিশ, রাজনীতিবিদ, ধনী ও প্রভাবশালীদের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। যে অভিযুক্ত নাবালক গাড়ি চালাচ্ছিল সে একজন ব্যবসায়ীর ছেলে। সাসুন হাসপাতালের চিকিৎসকদের ৩ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল রক্তের নমুনা বদলের জন্য। যাতে নাবালককে বাঁচানো যায়।
তিনি আরও বলেন, এক বিধায়কের ছেলে ঘটনার সাথে যুক্ত রয়েছে। তার রক্তের নমুনা বদলের জন্য সাসুন হাসপাতালে চিকিৎসকদের টাকা দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসনের কয়েকজন আধিকারিকদের সাহায্য নিয়েই এই কাজ করছেন ওই বিধায়ক।
কংগ্রেস নেতা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ দুই চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে।
পাল্টা কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। তিনি বলেন, "যদি চিকিৎসকরা কোনও কারসাজি করে থাকেন বা কোনও অন্যায় করেন, তাঁদের কাউকেই ছাড়া হবে না। তাঁদের লাইসেন্সও বাতিল করা হবে। কিন্তু আপনি তাঁদের অন্যায়ের জন্য সরকারকে দোষারোপ করতে পারেন না। সরকার তার কাজ করছে"।
পাশাপাশি তিনি জানান, "যদি একজন বিধায়ক থানায় যান, তাহলে আপনি কীভাবে বুঝলেন যে অসৎ উদ্দেশ্যে তিনি থানায় গেছেন? একজন বিধায়ক যদি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন তাহলে তিনি তাদের দেখতে যেতে পারেন, কিন্তু তার মানে এই নয় যে তিনি পুলিশ এবং ডাক্তারদের উপর চাপ দিচ্ছেন"।
অন্যদিকে ধৃত সাসুন হাসপাতালের চিকিৎসক অজয় তাউড়ের গ্রেফতারির পর আলোচনায় উঠে এসেছে তাঁর অতীত। টাকার বিনিময়ে আগেও কাজ করেছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। ২০২২ সালে কিডনি পাচার চক্রের সাথে যুক্ত ছিলেন এই চিকিৎসক। এক মহিলাকে ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে কিডনি দেওয়া হবে বলে দাবি করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল অজয় তাউড়ের। সেই সময় সাসুন হাসপাতালের সুপারিন্টেনডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল অজয়কে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন