আসামে ফের গোরু চুরির অভিযোগে এক যুবককে পিটিয়ে মারলো উত্তেজিত জনতা! বছর ২৮-র সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। অভিযোগ স্বঘোষিত গোরক্ষকদের দিকে। ইতিমধ্যেই পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে আসামের মরিগাঁও জেলার আহটগুড়ি গ্রামে। পুলিশ সূত্রে খবর মঙ্গলবার ভোরে সাদ্দাম হোসেন, মিজারুল হক এবং বিলাল আলি নামে তিন যুবককে গোরু চুরির অভিযোগে ব্যাপক মারধর করে গোরক্ষকরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সদ্দাম হোসেনের। বাকি দুজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয়দের দাবি, গ্রামেরই এক বাসিন্দার বাড়ি থেকে চারটি গোরু চুরি করে একটি লরিতে তুলে পালাচ্ছিলেন ওই তিন যুবক। তিনজনই নাকি বাইকে ছিলেন। তাঁদেরকে গ্রামের লোকেরা ধরে ব্যাপক মারে। পুলিশ উদ্ধার করতে এলে পুলিশের ওপরও ইটবৃষ্টি হয়। এক পুলিশ কর্মী জখমও হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ।
অন্যদিকে আসামের গোয়ালপাড়া জেলায় সোমবার রাতে এক আদিবাসী যুবককে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। মৃতের নাম সেনসান মারক। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ২৮ বছরের সেনসান পেশায় দিনমজুর। সোমবার রাতে দোকানে গিয়েছিলেন কিছু জিনিস কিনতে। তাঁকে দেখে একদল উন্মত্ত যুবক চোর চোর বলে চিৎকার করে মারধর করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই আদিবাসী যুবকের।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের স্ত্রী থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি, মহারাষ্ট্রের নাসিকে গোমাংস বহনের অভিযোগে পিটিয়ে মারা হয়েছিল একজনকে। অভিযোগ, একটি গাড়িতে তল্লাশির সময় স্বঘোষিত গোরক্ষকদের দল কিছু মাংস পায়। এরপরেই জনা পনেরো যুবকের ওই দল গাড়ির আরোহী দুই যুবককে লোহার রড, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধোর শুরু করে। বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং সেখানেই একজনের মৃত্যু হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন