যোশীমঠে ভেঙে ফেলতে হবে প্রায় ১০০০টি বাড়ি। সরকারি নোটিশ পাওয়ার পরেও ঘর ছাড়তে নারাজ স্থানীয় বাসিন্দারা। এত বছরের স্মৃতি ছেড়ে অন্যত্র যেতে কেউই চাইছেন না। সরকারের তরফে নতুন ঠিকানার ব্যবস্থা করা হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন বাসিন্দারা।
যোশীমঠের এলাকাগুলি যে ঝুঁকিপূর্ণ তা প্রশাসনের তরফ থেকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এনডিআরএফ (NDRF)-র রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠের ৩৫ শতাংশ এলাকা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সেই সমস্ত এলাকায় বাসস্থান, দোকান এবং হোটেল রয়েছে। রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, সবই দ্রুত ভেঙে ফেলতে হবে। নয়তো বিপদ আরও বাড়বে। কিন্তু বাসিন্দারা নিজেদের বাড়ি, ব্যবসা ছেড়ে যেতেই চাইছেন না।
সরকারের যোশীমঠবাসীদের জন্য অন্যত্র থাকার জায়গার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু সেখানে গিয়েও থাকতে রাজী নন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, যোশীমঠ থেকে প্রায় ১০০ কিমি দূরে অবস্থিত গৌচরের কাছে বামোথ গ্রামে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু অতদূরে গিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে উঠবে।
সম্প্রতি যোশীমঠ বাঁচাও সংঘর্ষ সমিতির আহ্বায়ক অতুল সতী সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, সরকার যেসব এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে তার মধ্যেও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দারা মন্দির শহরের ওপরি নির্ভর। কারণ এই এলাকাগুলি দিয়ে বদ্রীনাথ ও হেমকুন্ড সাহিব তীর্থস্থানগুলির উদ্দেশ্যে যাওয়া যায়। প্রচুর পূর্ণ্যার্থীর সমাগম হয়। ব্যবসাও ভালো চলে। অন্য জায়গায় গেলে তাঁরা কীভাবে পেট চালাবেন?
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসেই গোটা যোশীমঠ শহরের একেরপর এক বাড়িতে ফাটল ধরতে শুরু করে। কোনও কোনও বাড়ির বহু অংশ হুরমুড়িয়ে ভেঙেও পড়ে। সরকারি হিসেবে অনুযায়ী, মোট ৮৬৮টি বাড়ি ওই সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার মধ্যে ১৮১টি বাড়িকে ‘বসবাসের অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত করে চামোলি জেলা প্রশাসন। প্রায় শতাধিক মানুষকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঘর-বাড়ি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন