গুজরাটের পোরবন্দরের কাছে একটি জাহাজ থেকে উদ্ধার করা হল প্রায় সাড়ে তিন হাজার কেজি মাদক দ্রব্য। এই মাদকের আনুমানিক মূল্য ২২ হাজার কোটি টাকা বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার ভারতীয় নৌসেনা ও নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) যৌথ অভিযান চালিয়ে এই মাদক উদ্ধার করে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচ জনকে। জানা গেছে তারা প্রত্যেকেই পাকিস্তানী। তদন্ত শুরু করেছে গুজরাট পুলিশ।
জানা গেছে, ওই জাহাজ থেকে ৩০৮৯ কেজির বেশি চরস উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও ১৫৮ কেজি মেথামফেটামিন এবং ২৫ কেজি মরফিন উদ্ধার করা হয়। তবে সরকারি দফতরের পক্ষ থেকে বাজেয়াপ্ত করা ওই মাদকের মোট মূল্য না জানালেও, সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে এককেজি চরসের মূল্য প্রায় ৭ কোটি টাকা।
ভারতীয় নৌসেনার গুজরাতের ‘অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস)’-এর এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সীমারেখার কাছে আরব সাগরে এই অভিযান চালানো হয়েছিল। আরব সাগরে পোরবন্দরের কাছে একটি সন্দেহজনক পালতোলা জাহাজ তাঁদের নজরে আসে। এরপর তাদের গতিবিধি দেখে যৌথভাবে অভিযান চালায় এনসিবি ও নৌবাহিনী।
ভারতীয় নৌবাহিনী একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘এনসিবি এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে ওই ছোট জাহাজ থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে এত পরিমাণ মাদক একসঙ্গে উদ্ধার হয়নি। আটক করা নৌকা, মাদক এবং ধৃতদের ভারতীয় বন্দরে আইন প্রয়োগকারী এক সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”
ভারতীয় নৌবাহিনী ও এনসিবির এই যৌথ অভিযানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি এই অভিযানকে ‘ঐতিহাসিক সাফল্য’ বলে উল্লেখ করেছে। অমিত শাহ এই অভিযানের প্রশংসা করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "মোদীজির মাদকমুক্ত ভারতের স্বপ্ন অনুসরণ করে আমাদের এজেন্সিগুলি আজ দেশের সবচেয়ে বড় মাদক বাজেয়াপ্ত করার দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছে৷ এনসিবি, নৌবাহিনী এবং গুজরাট পুলিশ দ্বারা পরিচালিত একটি যৌথ অভিযানে, ৩১৩২ কেজি মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঐতিহাসিক সাফল্য আমাদের দেশকে মাদকমুক্ত করার জন্য আমাদের সরকারের অটল প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন