একনাথ সিন্ধের মন্ত্রীসভায় বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাঠোড়ের অন্তর্ভুক্তিতে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। উদ্ধব ঠাকরের মন্ত্রীসভায় বনমন্ত্রী ছিলেন রাঠোড়। এক টিকটক তারকার আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালে তাঁকে মন্ত্রীসভা থেকে অপসারণ করেছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
সরকার গঠনের প্রায় ৪০ দিন পর মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীসভার ১৮ জন মন্ত্রী শপথ নিলেন। বেলা ১১টা নাগাদ রাজভবনে নতুন মন্ত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করালেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল। তবে সরকার গঠনের দীর্ঘসময় পর মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।
মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীসভায় বিজেপির সাথে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধের জোট প্রথম ধাপেই জট পাকাতে শুরু করছে। এরই মধ্যে বিজেপির রাজ্য ইউনিটের সহ প্রধান চিত্রা ওয়াঘের একটি টুইট ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। চিত্রা কিশোর ওয়াগ নিজস্ব ট্যুইটে জানান, "এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, প্রাক্তন মন্ত্রী সঞ্জয় রাঠোড়, যিনি মহারাষ্ট্রের টিকটক তারকার আত্মহত্যার জন্য দায়ী তাঁকে পুনরায় মন্ত্রীত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমি 'গড অফ জাস্টিসে' বিশ্বাস করি। আমি আমার লড়াই চালিয়ে যাব।"
তবে পাল্টা একনাথ সিন্ধে সঞ্জয় রাঠোড়কে সমর্থন করে জানান, "আগের সরকারের আমলে তদন্তের পরে তাঁকে ক্লিন চিট দিয়েছে পুলিশ। তাই আমরা তাঁকে মন্ত্রী করেছি। যার আপত্তি আছে আমরা তাঁর সাথে কথা বলব।" গত বছরের আগস্টে ইয়াভাতমালের পুলিশ সুপার দিলীপ পাটিলের নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্ত দল রাঠোড়কে ক্লিনচিট দেয়।
পাশাপাশি একটি পুরনো ট্যুইটও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে গতবছর এক ভিডিওতে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ কিরীট সোমাইয়া টিকটক তারকার আত্মহত্যাকে সরাসরি 'একটি হত্যা' বলেছিলেন। মঙ্গলবার মন্ত্রীসভার শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সোমাইয়া। কিন্তু মন্ত্রীসভায় রাঠোড়কে পুনরায় যুক্ত করার ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
বুধবার থেকে মহারাষ্ট্র বিধানসভার বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তার আগে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী-সহ মোট ২০ জনের মন্ত্রীসভা তৈরি করে ফেললেন একনাথ সিন্ধে এবং দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। মহারাষ্ট্র মন্ত্রীসভায় মুখ্যমন্ত্রী সহ মোট ৪৩ জন মন্ত্রী থাকতে পারেন। আপাতত মন্ত্রীসভায় দুই পক্ষেরই সমান মন্ত্রী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন