দেরাদুনের পর এবার চণ্ডীগড়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানের ১০০ তম পর্ব শুনতে না আসায় ৩৬ জন পড়ুয়াকে শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ উঠলো চণ্ডীগড়ের একটি নার্সিং ইন্সিটিউটের বিরুদ্ধে।
গত ৩০ এপ্রিল, রবিবার, প্রধানমন্ত্রীর মাসিক রেডিও অনুষ্ঠান ‘মন কী বাত’-এর ১০০ তম পর্ব সম্প্রচারিত হয়েছে। তা শোনার ব্যাবস্থা করা হয়েছিল চণ্ডীগড়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নার্সিং এডুকেশন, পিজিআইএমইআর (Post Graduate Institute of Medical Education & Research)। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি ৩৬ জন পড়ুয়া। এর শাস্তি হিসেবে এক সপ্তাহের জন্য ওই পড়ুয়াদের হস্টেল থেকে বেরোনোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
৩ মে ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল ডাঃ সুখপাল কৌর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিবৃতি জারি করেছিলেন। এই ৩৬ জনের মধ্যে ২৮ জন প্রথম বর্ষের এবং ৮ জন তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া।
চিঠিতে বলা হয়েছে, পড়ুয়াদের এবং হস্টেল সমন্বয়কারীকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, মন কী বাতের ১০০ তম পর্বের বিশেষ প্রোগ্রামে প্রথম এবং তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের উপস্থিত হওয়া বাধ্যতামূলক। হস্টেলে রাত ও সকালের রাউন্ডের সময়ও পড়ুয়াদের একথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও ওই ৩৬ পড়ুয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি।
এই খবর প্রকশ্যে আসতেই বিতর্কের ঝড় ওঠে। এই সিদ্ধান্তকে ‘স্বৈরতান্ত্রিক’ বলে কড়া সমালোচনা করেছেন চণ্ডীগড়ের যুব কংগ্রেস সভাপতি মনোজ লুবানা। প্রশাসনের চাপেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। সমালোচনার মুখে ডাঃ কৌর জানিয়েছেন, শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, কারণ অনুষ্ঠানে অনেক অতিথি এসেছিলেন। এটি একটি শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা। তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়নি বলে নেওয়া হয়নি।
এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পড়ুয়াদের ভুল বোঝানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ডাঃ কৌর। তিনি বলেন, "ইন্সটিটিউটের সকলে আন্তরিকতার সাথে একটি দল হিসাবে কাজ করে। এটি দুর্ভাগ্যজনক যে এই পদক্ষেপটি নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে এবং ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের জিআরডি নিরঞ্জনপুর একাডেমি স্কুলে ‘মন কী বাত’ শুনতে না আসায় ১০০ পড়ুয়ার জরিমানা করার অভিযোগ উঠেছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন