পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো গত বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লা কান্ডে মূল অভিযুক্ত অভিনেতা দীপ সিধু। কিছুদিন আগে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি। কুন্ডলি-মানেসার-পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েতে গতকাল রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, SUV-তে করে দিল্লি থেকে পাঞ্জাবের ভাটিন্ডায় যাচ্ছিলেন ৩৭ বছরের দীপ সিধু। তিনি নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তাঁর সাথে ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু রীনা রাই। হরিয়ানার সোনিপাতের পিপলি টোল প্লাজার কাছে একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সিধুর।
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে SUV-টির সামনের অংশ ট্রাকের নীচে ঢুকে গেছে। গাড়িটির ড্রাইভারের দিকটি একেবারে থেতলে গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ির ভেতর থেকে দীপ সিধু এবং রীনা রাইকে উদ্ধার করে সোনিপাত সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দীপ সিধুকে মৃত ঘোষণা করা হয়। রীনা রাইয়ের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক।
আজ সকাল ১০ নাগাদ পোস্ট মর্টেম হওয়ার কথা রয়েছে অভিনেতার। এরপর তাঁর মৃতদেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। দুর্ঘটনার খবর জানাজানি হতেই হাসপাতালে ভিড় জমান অভিনেতার অনুরাগীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালের বাইরে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় ড্রাইভারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
গত বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর র্যালিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানীর রাজপথ। লালকেল্লায় ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত ছিলেন দীপ সিধু। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন দেশবাসীরা। আন্দোলনরত কৃষকরা অভিযোগ করেন, তাঁদের আন্দোলনকে কলঙ্কিত করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা হয়েছে। সেইসময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে দীপ সিধুর দুটি ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়, যা কৃষকদের অভিযোগকে আরো দৃঢ় করে।
ওই বছরই ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয় দীপ সিধুকে। এপ্রিল মাসে জামিনও পেয়ে যান তিনি। ওই মাসের শেষে ফের গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। কয়েকদিন পর মুক্তি পান তিনি।
দীপ সিধুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভোটমুখী পাঞ্জাবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ একাধিক রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব শোক প্রকাশ করেছেন তাঁর মৃত্যুতে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন