কয়লা আমদানিতে অতিরিক্ত খরচ দেখিয়ে সরকার ও জনগণের টাকা লুঠ করছে গৌতম আদানি। একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট উদ্ধৃতি করে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন রাহুল গান্ধী। প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে এখনও কেন নীরব আছেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
বুধবার নয়া দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন প্রাক্তন কংগ্রেস প্রধান রাহুল গান্ধী। সেখানে ব্রিটেন থেকে প্রকাশিত ‘ফিনান্সিয়াল টাইম্স’-এর একটি প্রতিবেদনের কথা তুলে ধরেন তিনি, যার শিরোনাম – ‘আদানি অ্যান্ড দ্য মিস্টেরিয়াস কোল প্রাইস রাইসেস’। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আদানি গোষ্ঠী ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা কেনে এবং ভারতে সেই কয়লা এনে ইনভয়েস বা বিলিং করার সময় দ্বিগুণ দাম উল্লেখ করা হয়।
এই প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে রাহুল গান্ধী বলেন, “আদানিরা ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা কিনছে। আর সেই কয়লা ভারতে পৌঁছলেই দাম দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। এভাবে দরিদ্র মানুষের পকেট কেটে ১২ হাজার কোটি টাকা লুঠ করেছে আদানি। দিনের আলোয় ডাহা চুরি করছে আদানি। আর প্রধানমন্ত্রী বারবার তাঁকে রক্ষা করে যাচ্ছে।“
কয়লার এই অতিরিক্ত চালান দেশের বিদ্যুতের দামের উপর প্রভাব ফেলছে। এই চড়া দামের উপর ভিত্তি করে বিদ্যুতের বিল তৈরি হয়। এর ফলে গ্রাহক ও কারখানাগুলি উচ্চ বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস সাংসদের। তিনি বলেন, “গরিব মানুষ যখন পাখা চালাচ্ছে, টিউব লাইট জ্বালাচ্ছে, তখন মনে রাখবেন সুইচ টিপলেই টাকা চলে যাচ্ছে আদানির পকেটে। এইভাবে আমরা ৩২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি দেখিয়েছি। জানিনা আরও কত আছে। সরকারের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে আছে আদানি। সবাই জানে এর পিছনে কোন শক্তি কাজ করছে।“
রাহুলের দাবি, ‘ফিনান্সিয়াল টাইম্স’-এর প্রতিবেদনে যা লেখা আছে, তা কোনও সরকারের পতনের পক্ষে যথেষ্ট। কিন্তু ভারত সরকারের তরফ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
রাহুল বলেন, “আমি কেবল প্রধানমন্ত্রীকে সাহায্য করছি এবং এই ইস্যুতে তদন্ত শুরু করে নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখার অনুরোধ করছি ওনাকে।“
রাহুল গান্ধীর এই অভিযোগ নিয়ে আদানি গোষ্ঠী বা কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন