আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে মার্কিন মুলুকে। অভিযোগ সামনে আসতেই রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে। শেয়ারেও ধস নেমেছে আদানি গোষ্ঠীর। গৌতম আদানির গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছে কংগ্রেস। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে আদানি গোষ্ঠী। বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এক্স মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে আদানি গ্রুপ জানিয়েছে, 'আমেরিকার বিচার বিভাগ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই অভিযোগ অস্বীকার করছি'।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'বিচার বিভাগ নিজেই জানিয়েছে, এগুলি অভিযোগ। অভিযোগ যতদিন না পর্যন্ত প্রমাণিত হচ্ছে ততদিন কাউকে দোষী বলা যায় না। আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। আদানি গ্রুপ সর্বদা স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করে। আমরা আমাদের স্টেকহোল্ডার, অংশীদার এবং কর্মচারীদের আশ্বস্ত করি যে আদানি গ্রুপ আইন মেনে কাজ করে'।
প্রসঙ্গত, আদানি গ্রিন এনার্জির সাথে এক মার্কিন সংস্থা অ্যাজুরে পাওয়ারের চুক্তি হয়। যৌথ উদ্যোগে ১২ গিগাওয়াট সৌরশক্তি বিভিন্ন রাজ্যে বিক্রি করা হবে - এমনই লক্ষ্য ছিল প্রকল্পটির। প্রকল্পটি বিপুল লাভজনক। ২০ বছরে সংস্থাটি প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা লাভ করত। এই প্রকল্পের জন্যই ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন আদানি।
গৌতম আদানি ছাড়া অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন তাঁর ভাইপো সাগর আদানি, 'আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডে'র সিইও বিনীত জৈন, রূপেশ আগরওয়াল, রঞ্জিত গুপ্ত, সৌরভ আগরওয়াল, দীপক মালহোত্রা এবং অস্ট্রেলিয়া-ফ্রান্সের দ্বৈত নাগরিক সিরিল ক্যাবানেস। এই সিরিল বর্তমানে সিঙ্গাপুরে বাস করছেন বলে খবর।
যদিও এই ঘটনায় আদানির পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। বিজেপির আইটি সেলের নেতা অমিত মালবীয় এই ঘটনার পিছনে আমেরিকার ধনকুবের জর্জ সোরসের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন। বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, ওই প্রকল্পের জন্য যে রাজ্যগুলি বাছা হয়েছে সেগুলো সবই অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য। ঘুষের অভিযোগ উঠেছে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির দিকে।
উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পটি রূপায়ণের জন্য চিহ্নিত রাজ্যগুলি হল - তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, ছত্তীসগঢ় এবং জম্মু ও কাশ্মীর। যে সময় এই প্রকল্প পাশ হয় তখন জম্মু ও কাশ্মীর ছাড়া সবকটি রাজ্যে বিরোধীরা ক্ষমতায় ছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন