রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়ে ম্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দরের সঙ্গে নিজেদের সংস্থার নাম জুড়ে দেয় আদানি গোষ্ঠী। নামকরণ হয় আদানি বিমানবন্দর। তা নিয়ে ঘোর আপত্তি ওঠে। সমাজকর্মী দিলরাজ আলবা এয়ারপর্ট অথোরিটি অফ ইন্ডিয়ার নজরে আনেন বিষয়টি। তৎপর হয় এএআই। তারপরে বিমানবন্দর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় আদানি নামের ফলক। ফের নাম হয় ম্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দর।
আহমেদাবাদ, লখনউ, ম্যাঙ্গালুরু, গুয়াহাটি, জয়পুর ও তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য লিজ হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া আদানি গোষ্ঠীকে। বন্ধু কর্পোরেট সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিতে কেন্দ্র আদানি গোষ্ঠীকে এই দায়িত্ব দিয়েছে, এমন অভিযোগ তুলতে শুরু করে বিরোধীরা। যদিও বিরোধীদের সেই আপত্তি উড়িয়েই পদক্ষেপ করে কেন্দ্র।
দায়িত্ব পেয়েই বিমানবন্দর নামের সঙ্গে নিজেদের নাম জুড়ে দেয় আদানি গোষ্ঠী। প্রশ্ন ওঠে, বিমানবন্দরের নামের সঙ্গে আদানিদের নাম কেন যোগ করা হল, তা নিয়ে। এব্যাপারে চলতি বছরের মার্চ মাসে ম্যাঙ্গালুরু বিমাবন্দরের অধিকর্তাকে আইনি নোটিশ পাঠায় এয়ারপোর্ট অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া।
আদানি গোষ্ঠী কিভাবে ম্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করতে পারে? তথ্য জানার অধিকার আইনের সাহায্য নেন সমাজকর্মী দিলরাজ আলভা। উত্তরে তাঁকে জানানো হয়, বিমাবন্দরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বই দেওয়া হয়েছে আদানি গোষ্ঠীকে। তার জন্য বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করতে পারে না সংস্থা। গত মার্চ মাসেই এব্যাপারে পদক্ষেপ করেছিল এএআই। ম্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দরের অধিকর্তাকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন