আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে করা তদন্তের ধীর গতি নিয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া’স (SEBI)-র দিকে অভিযোগের আঙুল তুললো কংগ্রেস। রবিবার কংগ্রেসের যোগাযোগ বিভাগের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘সেবিকে বহু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে’।
জয়রাম রমেশের বক্তব্য অনুসারে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে আমেরিকান সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের এক রিপোর্টে মরিশাসের দুই লগ্নিকারী সংস্থার (FPI) কথা বলা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, এই দুই সংস্থা সেবির বিদেশি লগ্নি বিধি লঙ্ঘন করেছে এবং আদানি গোষ্ঠীর টাকা ঘুরপথে দেশে এনে তাদেরই সংস্থায় অতিরিক্ত পুঁজি বিনিয়োগ করেছে। সম্প্রতি সেবির নতুন বিদেশি লগ্নি বিধি থেকে ছাড় পেতে সিকিউরিটি ট্রাইবুনালের কাছে আবেদন জানিয়েছে তারা। এই বিষয়ে শেষ তারিখ ছিল ৯ সেপ্টেম্বর।
নতুন বিধি অনুসারে, ভারতের বাজারে বিনিয়োগে কোন লগ্নিকারী সংস্থা লাভবান হল সেই সম্পর্কিত তথ্য সেবির কাছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিকে জমা দিতে হবে। মূলত ঘুর পথে কালো টাকা এইভাবে বিনিয়োগ হচ্ছে কিনা তার দিকে নজর রাখতেই এই পদক্ষেপ।
রমেশের আরও অভিযোগ, বিভিন্ন এফপিআই সেবির নিয়মবিধি লঙ্ঘন করে আদানি গ্রুপের সংস্থাগুলিতে ‘বেনামি’ অংশীদারিত্ব সংগ্রহের প্রচেষ্টায় জড়িত। তিনি SEBI-র তদন্তের সময়সীমার কথা উল্লেখ করে বলেন, এই তদন্ত প্রাথমিকভাবে দু’মাসের মধ্যে শেষ করার জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ১৮ মাস পেরিয়ে যাবার পরেও তা অসম্পূর্ণ থেকে গেছে। রমেশ বলেন, “সেবি-র অনেক কিছু ব্যাখ্যা করার আছে, তার চেয়ারপার্সনের স্বার্থের একাধিক বিষয় যা এখন সামনে আসছে।”
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস প্রথম থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছে, যে সরকার আদানি গোষ্ঠীকে বেশ কিছু অনৈতিক সুবিধা দিয়েছে এবং গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন সংস্থায় আর্থিক অনিয়ম এবং শেয়ারের দামে হেরফের ঘটানো হয়েছে।
যদিও আদানি গোষ্ঠী এই সমস্ত অভিযোগই বারবার অস্বীকার করেছে। এই প্রসঙ্গে সেবি চেয়ারপার্সন মাধবী বুচ এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অফশোর তহবিলে অংশীদারিত্বের যে অভিযোগ আনা হয়েছিল তাও অস্বীকার করেছেন মাধবী বুচ এবং তাঁর স্বামী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন