প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘পৃষ্ঠপোষকতায়’ আদানি গোষ্ঠীর উত্থান হয়েছে বলে দাবি করেছে সিপিআই(এম)। একইসঙ্গে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্টে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠে এসেছে, তা নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তেরও দাবি জানিয়েছে দলটি।
সিপিআইএম-এর মুখপত্র ‘পিপলস ডেমোক্রেসি’-র সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘নরেন্দ্র মোদীর পৃষ্ঠপোষকতা এবং সুরক্ষার ফলাফল হিসাবে ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির উত্থান না দেখলে, আদানির গল্পটি অসম্পূর্ণ। ২০০২ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মোদীর সঙ্গে আদানির সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারপর থেকে আদানির ভাগ্য নরেন্দ্র মোদীর রাজনৈতিক যাত্রাপথের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জুড়ে যায়।’
আদানি গ্রুপের ‘প্রতারণামূলক লেনদেন’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে সিপিআই(এম)-র মুখপত্রে। বলা হয়েছে, ‘আদানি গ্রুপের প্রতারণামূলক লেনদেন ভারতের জনগণের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ। কারণ, বছরের পর বছর ধরে যে ‘লুটপাট’ করেছেন আদানি, তা সবই হল দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং জনসাধারণের তহবিল। রকেট গতিতে আদানি গোষ্ঠীর উত্থান নিয়ে, ভারতে অনেক আগে থেকেই অনেক গুরুতর প্রশ্ন ও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু, তা নিয়ে কোনও সদার্থক ভূমিকা পালন করেনি SEBI এবং RBI-এর মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বা ED-র মতো কোনও কেন্দ্রীয় এজেন্সি।’
অভিযোগ তুলে সিপিআই(এম) জানিয়েছে, ‘মোদী-আদানি নেক্সাস’ আসলে ‘হিন্দুত্ব-কর্পোরেট জোট’-এর প্রতীক। তারাই আজ দেশ শাসন করছে। তাই, শিল্পপতি আদানি আত্মবিশ্বাসী যে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের সমর্থনে তিনি এই সমস্যা (শেয়ারে পতন) মোকাবেলা করতে পারবেন।’
‘কিন্তু এই দেশের নাগরিক, যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস হতে দেখছেন এবং সাম্প্রদায়িক-কর্পোরেট জোটের কাছে যাদের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে, লুঠতরাজ চালানোর জন্য আজ তাঁদের সামনেই আদানিদের জবাবাদিহি করাতে হবে। এটি অপরিহার্য', দাবি করা হয়েছে পিপলস ডেমোক্রেসি-তে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন