২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে লোকসভায় পুনঃনির্বাচিত হওয়া ৭১ জন সাংসদের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ২৮৬ শতাংশ। তালিকায় সকলের শীর্ষে রয়েছেন BJP সাংসদ রমেশ চন্দপ্পা জিগাজিনাগি (Ramesh Chandappa Jigajinagi)। শুক্রবার, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফরমস (ADR) যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য।
রিপোর্ট অনুসারে, ২০০৯ সালে BJP-র জিগাজিনাগির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১.১৮ কোটি টাকা। ২০১৪ সালে তা বেড়ে হয় ৮.৯৪ কোটি টাকা। এবং, ২০১৯ সালে তা পৌঁছায় ৫০.৪১ কোটি টাকায়। সামগ্রিকভাবে সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ৪,১৮৯ শতাংশ। সম্পদের এই পরিমাণ তিনি নিজেই জানিয়েছেন নির্বাচনী হলফনামায়।
২০১৯ সালে, টানা ষষ্ঠ মেয়াদে (১৯৯৮ সাল থেকে) কর্ণাটকের বিজাপুরের আসনে জয়লাভ করেন জিগাজিনাগি। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল নাগাদ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্য হিসাবে পানীয় জল ও স্যানিটেশনের দফতরের প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ADR-র রিপোর্ট অনুসারে, কর্ণাটকের আরেক বিজেপি সাংসদ পিসি মোহন (PC Mohan) - তাঁরও সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে রকেট গতিতে। শীর্ষ ১০ জনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি।
২০১৯ সালে বেঙ্গালুরু কেন্দ্রীয় নির্বাচনী এলাকা থেকে পুনঃনির্বাচিত হন মোহন। ২০০৯ সালের নির্বাচনে প্রায় ৫.৩৭ কোটি টাকার সম্পদ ঘোষণা করেছিলেন তিনি। আর, ১০ বছরে সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫.৫৫ কোটি টাকায়। অর্থাৎ, ২০১৯ সালের মধ্যে তাঁর সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ১,৩০৬ শতাংশ।
একই অবস্থা BJP-র আরেক সাংসদ বরুণ গান্ধীর (Varun Gandhi) ক্ষেত্রেও। ২০১৯ সালে টানা তৃতীয়বার পুনঃনির্বাচিত হন তিনি। ২০০৯ সালে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪.৯২ কোটি টাকা। আর, ২০১৯ সালে (১০ বছরের ব্যবধানে) সেই পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৬০.৩২ কোটি টাকা।
রিপোর্টে অনুসারে, ২০০৯ সালে ভাথিন্দার শিরোমণি আকালি দলের (SAD) সাংসদ হরসিমরত কৌর বাদল (Harsimrat Kaur Badal)-র সম্পদ ছিল ৬০.৩১ কোটি টকা। ২০১৯ সালে সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭১.৯৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ, ১০ বছরের ব্যবধানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ২৬১ শতাংশ।
পিছিয়ে নেই NCP (ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি)-র সাংসদ সুপ্রিয়া সদানন্দ সুলে (Supriya Sadanand Sule)-ও। ২০০৯ সালে, মহারাষ্ট্রের বারামতি কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হওয়ার সময় তাঁর সম্পদ ছিল ৫১.৫৩ কোটি টকা। ২০১৯ সালে সেই পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১৪০.৮৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ, ১০ বছরের ব্যবধানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৭৩ শতাংশ।
একই অবস্থা ওড়িশার পুরী থেকে বিজু জনতা দলের (BJD) সাংসদ পিনাকি মিশ্রের (Pinaki Misra)। গত ১০ বছরে তাঁর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ২৯৬ শতাংশ (৮৭.৭৮ কোটি টাকা)। ২০০৯ সালে তাঁর মোট সম্পদ ছিল ২৯.৬৯ কোটি টাকার। আর, ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৭.৪৭ কোটি টাকায়।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে ৭১ জন সাংসদের গড় সম্পদ ছিল ৬.১৫ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে সেই গড় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭.৫৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ, ৭১ জন পুনঃনির্বাচিত সাংসদের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ২৮৬ শতাংশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন