ফের অশান্ত হয়ে উঠছে মণিপুর। ক্রমশ বাড়ছে নারীদের উপর অত্যাচার। শেষ দু'দিনে এক মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন এবং আর এক মহিলাকে গুলি করে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে মণিপুরে। দুটি ঘটনায় একে অন্যের দিকে অভিযোগ তুলছে কুকি ও মেইতেই গোষ্ঠী।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে মণিপুরের জিরিবাম জেলার জাইরন গ্রামে। অভিযোগ ওঠে স্বামীর সামনেই কুকি জনজাতির এক মহিলাকে ধর্ষণ করে আগুনে পুড়িয়ে খুন করে একদল দুষ্কৃতি। প্রশাসন সূত্রে খবর, নিহত ওই মহিলার বয়স ৩১। মহিলার স্বামী থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন। মূলত গোষ্ঠী সংঘর্ষ ও ধর্মীয় হিংসার কারণেই তাঁর স্ত্রী-র উপর অত্যাচার হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মহিলার দেহ মণিপুরের বদলে আসামের শিলচরে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
বৃহস্পতিবার রাতে জাইরন গ্রামে আচমকাই ঢুকে পড়ে একদল দুষ্কৃতি। একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। ভাঙচুরও চালায়। পরে ওই মহিলার ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মূল অপরাধীরা ধরা পড়েনি। তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলায়। অন্যান্য কৃষকদের সাথে ধান জমিতে কাজ করছিলেন এক মহিলা। নিকটবর্তী পাহাড় থেকে আচমকাই গুলি চলে। সেই গুলিতেই নিহত হন ওই মহিলা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ কুকি গোষ্ঠীর দুষ্কৃতিরা এই হামলা চালিয়েছে।
দুই ঘটনার পর নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মণিপুরে। অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কুকি ও মেইতেই গোষ্ঠীর মানুষরা। জিরিবামে হওয়া ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিচার চেয়ে কুকি-অধ্যুষিত কাংপোকপি এবং চুরাচাঁদপুর জেলায় বিশাল বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন