দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে দেশীয় গো-বিজ্ঞান পরীক্ষা বাতিল করলো রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি অনলাইনে এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল, যেখানে দেশের প্রায় ৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী অংশ নেবে বলে দাবি করেছিল কামধেনু আয়োগ। এমনকি ছাত্রছাত্রীরা যাতে এই পরীক্ষায় অংশ নেয় তার জন্য সরাসরি ময়দানে নেমেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।
রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি যে কামধেনু গো-বিজ্ঞান প্রচার প্রসার এক্সাম হওয়ার কথা ছিল, তা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। এই ওয়েবসাইটেই পরীক্ষার পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করা হবে।
গত ৫ জানুয়ারি দিল্লিতে একটি সাংবাদিক বৈঠকে দেশীয় গোরু নিয়ে পরীক্ষার কথা ঘোষণা করেছিলেন রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান বল্লভভাই কাঠিরিয়া। এরপরই দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। আপত্তি জানায় বহু সংস্থা ও বিজ্ঞানীমহল। তাদের দাবি, এটি ভুল তথ্য ও কুসংস্কার ছড়িয়ে দেবে মানুষের মনে।
কামধেনু আয়োগের ওয়েবসাইটে পরীক্ষার যে স্টাডি মেটারিয়ালস দেওয়া হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, ভারত ও রাশিয়ার পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতে রেডিয়েশনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গোবর ব্যবহার করা হয়। গ্যাস লিক থেকে ভোপালবাসীদেরও রক্ষা করেছিল এটি। দেশী গোরুর দুধে সোনা থাকা নিয়ে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ যা বলেছেন, স্টাডি মেটারিয়ালসেও সেই একই কথা বলা হয়েছে। এগুলো নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলেন বিজ্ঞানীরা। মনে করা হচ্ছে সেই কারণেই আপাতত পরীক্ষা স্থগিত করেছে কেন্দ্র সরকার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন