UP: মথুরার পর এলাহাবাদ আদালতেও জামিনের আবেদন খারিজ কেরালার সাংবাদিক কাপ্পান সিদ্দিকির

নতুন করে এলাবাহাদ হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন কাপ্পান। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। বৃহস্পতিবার আদালত বলে, তদন্তে এটা পরিষ্কার যে সেই সময় আবেদনকারীর কোনও কাজ ছিলনা হাথরসে।
সিদ্দিকি কাপ্পান
সিদ্দিকি কাপ্পানফাইল ছবি
Published on

আবারও আদালতে ধাক্কা খেলেন কেরালার সাংবাদিক কাপ্পান সিদ্দিকি। আরও একবার জামিন খারিজ হল তাঁর। এলাহাবাদ হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার তাঁর জামিন খারিজ করে দেয়। উত্তরপ্রদেশে হাথরস কাণ্ডের সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

নতুন করে এলাবাহাদ হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। বৃহস্পতিবার আদালত বলে, তদন্তে এটা পরিষ্কার যে সেই সময় আবেদনকারীর কোনও কাজ ছিল না হাথরসে। চার্জশীট ও বিভিন্ন নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে কাপ্পান অপরাধ করেছে।

আদালতে কাপ্পানের আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেলের কোনও অপরাধ নেই। তিনি শুধু নিজের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সেইখানে কখনই তিনি বিরোধ বা অশান্তি সৃষ্টি করতে যাননি।

আদালতের তরফ থেকে এও বলা হয়, চার্জশীটে উল্লেখ আছে আবেদনকারী নিজের সাংবাদিক পেশার জন্যই ঐ স্থানে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয়। তিনি প্রশাসনের কাজে বাধা দান করেছেন। সেইজন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লেখ্য, হাথরাসে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনার খবর করতে গিয়ে মৌলবাদী গোষ্ঠী পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় কাপ্পান-সহ আরও একজনকে। এলাকায় শান্তি নষ্ট করার দায়ে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হলেও পরে দেশদ্রোহীর অভিযোগ দায়ের করা হয় কাপ্পানদের বিরুদ্ধে। সন্ত্রাসদমন আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি আইন লঙ্ঘনের ধারাও লাগানো হয় তাঁদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় প্রায় ৫০০০ পাতার চার্জশিট পেশ করা হয়।

এর আগে ২০২১-এ সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি লেখেন কাপ্পানের স্ত্রী। পশুর মতো চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে সাংবাদিক সিদ্দিকি কাপ্পানকে। "চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তাঁর জীবন"। এই অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। চিঠিতে এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ দাবিও করেছিলেন তিনি।

সিদ্দিকি কাপ্পান
হাথরস কাণ্ড: গণধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছিল নির্যাতিতাকে, চার্জশিটে জানালো সিবিআই

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in