'ক্যাশ ফর কোয়েশ্চন' কাণ্ডে সিবিআই-র পর ইডি মামলা করতেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন, বিজেপিতে যোগ না দিলেই যেতে হবে তিহার জেলে। আপ নেত্রী অতিশীর পর তৃণমূল প্রার্থীর মুখেও একই কথায় তুঙ্গে রাজনৈতিক পারদ।
লোকসভা নির্বাচনে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে সমস্ত রাজনৈতিক দলই। এরই মধ্যে ক্যাশ ফর কোয়েশ্চন কাণ্ডে দিল্লিতে মহুয়াকে তলব করেছিল ইডি। যদিও তিনি হাজিরা দেননি ভোটপ্রচারে ব্যস্ত থাকার কারণে। মহুয়া জানিয়েছিলেন, 'ইডির কাজ ইডি করবে আর আমার কাজ আমি'। এরপর মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে নতুন করে একটি মামলা দায়ের করে ইডি। যার জেরে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেছেন তিনি।
এক্স হ্যান্ডেলে একটি প্রতিবেদনের হেডিং বা শিরোনাম তুলে ধরে হিন্দিতে মহুয়া লেখেন, "খুলে হ্যায় বিজেপি কে দ্বার। আ যাও নেহি তো আব কে বার - তিহার!" অর্থাৎ বিজেপির দরজা খোলা আছে। চলে এসো নয়তো এবার যেতে হবে তিহার জেলে। এমনকি মহুয়ার পোস্ট করা ওই প্রতিবেদনও এই সংক্রান্ত। যেখানে বলা আছে, ২০১৪ থেকে ২৫ জন এমন বিরোধী নেতা আছেন যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের সকলেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এবং তাঁদের মধ্যে ২৩ জন সমস্ত মামলা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
ইডি সূত্রে জানা গেছে, অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এ মঙ্গলবার মহুয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে তারা। এর আগে বিদেশী মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিল ইডি।
উল্লেখ্য, 'ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন' মামলায় গত ১৯ মার্চ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় লোকপাল। গত শনিবার কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের কলকাতার ফ্ল্যাট ও কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কার্যালয়-সহ মোট চার জায়গায় হানা দেয় সিবিআই। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে তল্লাশি। যদিও মহুয়া মৈত্র প্রথম থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন