পেট্রোপণ্যের পর এবার মূল্যবৃদ্ধি হতে পারে ওষুধের, আশঙ্কা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের

বিশেষ করে, চিনের বিদ্যুৎ সঙ্কট এবং সেখানে উৎপাদন ও রফতানি কমে যাওয়ায় আগামী দিনে ওষুধের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পেট্রোপণ্যের পর এবার মূল্যবৃদ্ধি হতে পারে ওষুধের, আশঙ্কা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের
ফাইল চিত্র
Published on

পরিবহণ খরচ, রান্নাঘরে মূল্যবৃদ্ধির আগুন তো ছিলই। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধিও। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকের পর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস নিজেই বলেছেন, ‘আগস্টে সব্জি ও খাদ্যপণ্য কিছুটা সস্তা হওয়ার আভাস মিলেছে। কিন্তু আগামী কয়েক মাসে চাহিদা ও জোগানের ফারাক বাড়লে ফের ঊর্ধ্বমুখী হবে খাদ্যপণ্যের দাম।’

যদিও খুচরো বাজারে খাদ্যপণ্যের মূল্য কমার কোনও প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। গত এক বছরে বাজারচলতি বহু ওষুধের দাম বেড়েছে। অত্যন্ত ধীরে মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় টনক নড়েনি, কিন্তু বুঝেছে মধ্যবিত্ত।

কোভিডকালে ওষুধ ও চিকিৎসার খরচ হু হু করে বেড়েছে। মাঝেমধ্যেই প্রয়োজনীয়, এমনকী জীবনদায়ী ওষুধও বাজার থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। যেটুকু মিলেছে, সেটা কিনতে হয়েছে দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে। সেই দাম আর কমেনি। বিশেষ করে, চিনের বিদ্যুৎ সঙ্কট এবং সেখানে উৎপাদন ও রফতানি কমে যাওয়ায় আগামী দিনে ওষুধের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শক্তিকান্ত দাসের আশা, চলতি আর্থিক বছরের শেষে মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.৩ শতাংশের আশপাশে থাকবে।

প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মাপকাঠি অনুযায়ী মুদ্রাস্ফীতির হার ৫ শতাংশের নীচে থাকলে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। আর সেটা হলেই বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কিন্তু শুক্রবার নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকে মুদ্রাস্ফীতির হার ৫ শতাংশের নীচে যেতে পারে, এমন আশা মেলেনি।

উল্লেখ্য, রেপো রেট ৪ শতাংশ, রিভার্স রেপো ৩.৩৫ শতাংশই রাখা হয়েছে। অর্থাৎ এই উৎসবের মরশুমে বাড়ি-গাড়ি ও শিল্পক্ষেত্রে ব্যাঙ্কঋণের নতুন করে ছাড়ের আশা নেই বললেই চলে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in