শত আপত্তি, সমালোচনা, প্রতিবাদ কোনও কিছুকেই পাত্তা দিল না কেন্দ্র। পূর্ব ঘোষণামতোই শুক্রবার ১ অক্টোবর থেকে অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের অস্তিত্ব তুলে দিল। এদিন থেকে বোর্ডের সদর দফতর ও তার অধীনে থাকা ৪১টি কারখানার দায়িত্ব নিল সাতটি সরকারি কোম্পানি। ভবিষ্যতে এক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগ বা বিদেশি পুঁজি আসার রাস্তাও উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
কোনও কিছু নিয়েই সংস্থার কর্মীদের বক্তব্যকে আমল দেয়নি সরকার। কর্মচারী সংগঠনগুলির আন্দোলন বা ধর্মঘট রোখার জন্য আগে থেকেই কড়া আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। এই অবস্থায় সংগঠনগুলি কর্মচারীদের মনোভাব জানতে গণভোটের আয়োজন করে। বামেদের পাশাপাশি এই উদ্যোগে শামিল হয় আরএসএস-এর শ্রমিক সংগঠন বিএমএস’ও। গণভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে, ৯৯.৪০ শতাংশ কর্মচারী মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন।
এই ফলাফল জানিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও মোদি মন্ত্রিসভার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়। গত ১৩ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর দেশের ৪১টি কারখানা ও কলকাতায় অবস্থিত বোর্ডের সদর দফতর আয়ুধ ভবনের গ্রুপ-বি এবং সি কর্মীদের গণভোটের ব্যবস্থা করা হয়। কোথাও দু’টি মতের আবেদনপত্রে সই করে, কোথাও আবার পক্ষে ও বিপক্ষের দু’টি বাক্স রেখে এই ভোট নেওয়া হয়।
রাজনাথ সিংকে পাঠানো চিঠিতে সংগঠনগুলি বলেছে, দু’টি ক্যাটেগরি মিলিয়ে মোট ৭০ হাজার ৫১৫ জন কর্মীর মধ্যে গণভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন ৬১ হাজার ৫৬৪ জন। বিপক্ষে মত দিয়েছে ৬১ হাজার ১১৯ জন। শতাংশের হিসেবে যা ৯৯. ৪০। সরকারের পক্ষে মত ব্যক্ত করেছেন মাত্র ৩৬৫ জন কর্মী। বাম বা বিএমএস (সংঘ)-এর বক্তব্য, কংগ্রেস সমর্থিত আইএনটিইউসি আন্দোলনের মাঝপথে পিছু হটে সরকারের পাশে দাঁড়ায়। তাতে অনেকের ধারণা ছিল যে, অনেক কর্মচারী কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। কিন্তু গণভোটের ফলই প্রকৃত সত্য তুলে ধরল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন