মোদী সরকারের ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের যুবকের প্রতি ‘অবিচার’ করা হচ্ছে। এই মর্মে দেশের রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। ভারতীয় সেনায় যোগ দিতে ইচ্ছুক লক্ষাধিক যুবকদের জন্য ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মকে লেখা চিঠিতে খাড়্গে উল্লেখ করেছেন, এই ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের জেরে দেশের প্রায় দুই লক্ষ যুবক-যুবতীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। যার ফলে হতাশায় ভুগছেন তারা। অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। চিঠিতে খাড়্গে আরও লেখেন, “দেশের যুবরা এতখানি কষ্ট পেতে পারেন না। আমি আপনার কাছে ন্যায় বিচারের দাবি জানাচ্ছি।"
উল্লেখ্য, ভারতের রাষ্ট্রপতি দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সুপ্রিম কমান্ডার। সেই কারণেই সেনায় সমস্যার সমাধানে তাঁর কাছে আবেদন করেছেন খাড়্গে। খাড়্গের ফের একবার ‘অগ্নিপথ’ ইস্যু উসকে দেওয়া লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের একটি রাজনৈতিক চাল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ১৪ জুন দেশের সেনা নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প চালু করেছিল মোদী সরকার। এই প্রকল্প অনুযায়ী, চার বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিতে বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। চার বছর পর ২৫ শতাংশকে রেখে বাকিদের স্বেচ্ছাবসর দেওয়া হবে। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী সাড়ে ১৭ থেকে ২১ বছরের তরুণ-তরুণীরা বাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পের আওতায় মোট ৪৬ হাজার প্রার্থীকে ভারতীয় স্থলসেনা, বায়ুসেনা এবং নৌসেনাতে নিয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
সেই সময় এই প্রকল্প বাতিলের দাবিতে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরী হয়েছিল সারা দেশে। এই প্রকল্প বাতিলের দাবিতে সরব হয়েছিল দেশের তরুণ সমাজের একাংশ। দেশের ১৩টি রাজ্যে এই প্রকল্পের বিরোধীতা করে বিক্ষোভ হয়। রেলপথ, সড়কপথ অবরোধ থেকে শুরু করে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর এবং আগুন লাগানোর মত ঘটনাও ঘটেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন