মোদী সরকারের চালু করা অগ্নিপথ প্রকল্প বন্ধের দাবি জানালো খোদ শহিদ অগ্নিবীর অজয় কুমারের পরিবার। সেনার তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ অর্থ প্রদান করা হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
কর্মরত অবস্থায় শহিদ হন অগ্নিবীর সেনাজওয়ান অজর কুমার। চলতি বছর জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে প্রাণ হারান অগ্নিবীর অজয় কুমার। তাঁর মৃত্যুতে রীতিমতো ভেঙে পড়ে পরিবারের সদস্যরা।
অজয় কুমারের বাবা বলেন, অগ্নিপথ প্রকল্প বাতিল করা উচিত। এর পরিবর্তে পেনশন চালু করুক সরকার। শহিদ সেনার বোন জানান, চার বছরের চাকরির জন্য ভাইয়ের প্রাণ চলে গেল। সরকার ১ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেও তাঁকে (শহিদ অজয় কুমার) ছাড়া কীভাবে পরিবারটি শান্তিতে বেঁচে থাকবে?
দেশের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, শহিদ অগ্নিবীর অজয় কুমারের পরিবার ক্ষতিপূরণ পায়নি। যদিও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান ওই সেনার পরিবারকে ১ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে।
অজয় কুমারের পরিবার জানান, ICICI ব্যাঙ্ক থেকে বীমার ৫০ লক্ষ টাকা এবং ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে ৪৮ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা এখনও তাঁরা পাননি।
বকেয়া টাকা সম্পর্কে সেনাবাহিনী জানায়, শহিদ অজয় কুমারের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে সেনার পক্ষ থেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় টাকা না দেওয়ার যে পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে তা ভুয়ো। এখনও পর্যন্ত ৯৮.৩৯ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। অগ্নিপথ প্রকল্পের নিয়মানুযায়ী পুলিশি যাচাইয়ের পর বাকি ৬৭ লক্ষ টাকাও ওই সেনার পরিবারকে দেওয়া হবে। মোট ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুন মাসে এই প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। মূলত ১৭-২১ বছর বয়সীদের চার বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে নিয়োগের কথা বলা হয়। তারপর উত্তাল হয় গোটা দেশ। বিভিন্ন জায়গায় চলে বিক্ষোভ। পরে কেন্দ্র জানায় কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হলে ১ কোটি টাকা দেওয়া হবে পরিবারকে। এছাড়াও একাধিক বিষয়ে পরিবর্তন এনে অগ্নিপথ প্রকল্প চালু করে কেন্দ্র। অগ্নিপথ প্রকল্পে কর্মরত সেনাদের অগ্নিবীর বলা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন